কিংবদন্তি শচিন টেন্ডুলকারের পাশে কোহলি

অনলাইন ডেস্ক :

পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর দুইবার জীবন পেলেন বিরাট কোহলি। সুযোগটা তিনি কাজে লাগালেন দারুণভাবে। আরেকটি ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে একটি রেকর্ডে পাশে বসলেন কিংবদন্তি শচিন টেন্ডুলকারের। আরেক জায়গায় ছাড়িয়ে গেলেন পূর্বসূরিকে। ওয়ানডেতে ১ হাজার ২১৪ দিনের সেঞ্চুরি-খরা কাটিয়ে পরের ম্যাচেই আরেকটি পেয়ে গেলেন কোহলি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারী) গুয়াহাটিতে ৮০ বলে তিন অঙ্ক স্পর্শ করলেন সাবেক ভারত অধিনায়ক। এই সংস্করণে ঘরের মাঠে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ডে টেন্ডুলকারের পাশে বসলেন কোহলি। দেশের মাটিতে ১৬৪ ম্যাচে ২০ সেঞ্চুরি করেছিলেন টেন্ডুলকার। তাকে ছুঁতে কোহলির লাগল ১০২ ম্যাচ। ২০১৯ সালের মার্চে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টানা দুই ওয়ানডেতে নাগপুর ও রাঁচিতে সেঞ্চুরি করেছিলেন কোহলি। এরপর এই প্রথম দেশের মাটিতে শতকের স্বাদ পেলেন তিনি। ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির তালিকায় এতদিন টেন্ডুলকারের সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে ছিলেন কোহলি। ৯ নম্বর সেঞ্চুরি করে তিনি এককভাবে উঠে গেলেন চূড়ায়। ভারতের আগের ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে গত মাসে চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৯১ বলে ১১৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন কোহলি। ২০১৯ সালের অগাস্টের পর সেটি ছিল এই সংস্করণে তার প্রথম সেঞ্চুরি। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও ঠিক ১১৩ রানই করেছেন ৩৪ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। ৮৭ বলে ১২ চার ও এক ছক্কায় গড়া ইনিংসটি। ইনিংসের ২০তম ওভারে শুবমান গিলের বিদায়ে ১৪৩ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর ক্রিজে যান কোহলি। ফিফটি পূর্ণ করেন তিনি ৪৭ বলে। এর পরপরই ৫২ রানে তার ক্যাচ হাতছাড়া করেন কিপার কুসল মেন্ডিস। ৮১ রানে তিনি আরেকবার জীবন পান এক্সট্রা কাভারে দাসুন শানাকা সহজ ক্যাচ ফেলায়। দুইবারই বোলার ছিলেন কাসুন রাজিথা! ৯৫ রান থেকে সেই রাজিথাকে চার মেরেই কোহলি পৌঁছে যান শতকের দুয়ারে। পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে পূর্ণ করেন ৪৫তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। আর চারটি হলে এই সংস্করণে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ডে টেন্ডুলকারকে ছুঁয়ে ফেলবেন কোহলি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার সেঞ্চুরি হলো ৭৩টি। টেন্ডুলকারের রেকর্ড ১০০ শতকের রেকর্ড ছুঁতে তাকে পাড়ি দিতে হবে এখনও লম্বা পথ। কোহলির সেঞ্চুরি, রোহিত শর্মা ও গিলের ফিফটিতে ৫০ ওভারে ভারত ৭ উইকেট হারিয়ে তোলে ৩৭৩ রান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *