জুড়ীতে রাতের আঁধারে বাঁধ কেটে দেওয়ায় পানির অভাবে ক্ষতি সম্মুখীন কৃষক

হারিস  মোহাম্মদ: :মৌলভীবাজার জেলার জুড়ীতে রাতের আধারে বাঁধ কেটে দিয়ে এক কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি করেছে দুষ্কৃতিকারীরা । ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার( ২৫ জানুয়ারি) উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া গ্রামে হাবলের হাওরে । এ ঘটনায় জমির মালিক গত বৃহস্পতিবার জুড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে।
 সরেজমিনে গেলে জমির মালিক আব্দুস সালাম সোহাগ (৭০) জানান প্রতিবছর হাবলের হাওরে কৃত্রিম বাঁধ দিয়ে ছড়ার পানি আটকে ২৫ /৩০ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেন। এছাড়াও আলু, বেগুন ,টমেটো ,করোলা, সিম সহ নানা ধরনের রবি শস্য ফলান। এ বছর তিনি প্রায় ২৫ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছেন এবং দুই বিঘা জমিতে রবিশস্য ফলিয়েছেন।
 ঘটনার দিন রাতে একই গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের পুত্র পল্লী চিকিৎসক মানিক মিয়া (৫০) তার ছড়ার চারটি স্থানে চারটি বাঁধ কেটে দেয় । ঘটনার খবর পেয়ে তিনি তার ছেলে সাহেদকে নিয়ে সেখানে উপস্থিত হলে মানিক মিয়া তাকে অকথ্য  ভাষায় গালিগালাজ করে তার দিকে তেড়ে আসে। তখন  নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে  ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে চলে যান।
ওই বাঁধ কেটে দেওয়ার কারণে তার সমস্ত জমি শুকিয়ে বোরো ধানের চারা মরে যাচ্ছে এবং পানির অভাবে সবজি ক্ষেতের ক্ষতি হচ্ছে। তিন আরো বলেন,  আমি কৃষি ব্যাংক থেকে ২ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে কৃষি আবাদ করেছি। বাঁধ কেটে দেওয়ার কারণে আমার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে,  আমি ন্যায় বিচার চাই।
প্রতিবেশী নুরুদ্দিন, আব্দুল কাইয়ুম, আকবর আলী, নজরুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান সহ অনেকেই জানান দুষ্কৃতিকারী কর্তিক বাঁধ কেটে দেওয়ায় আব্দুস সালাম সোহাগের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
 এ বিষয়ে অভযুক্ত পল্লী চিকিৎসক  মানিক মিয়া বলেন, আমি ঘটনার সাথে জড়িত নয়। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয়।
জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোশাররফ হোসেন বলেন লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ফরহাদ বলেন অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেছি। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *