পরিবেশ আইন মেনে পুনরায় পোল্ট্রি ফার্ম চালু করেছেন জুড়ীর কাসেম

জুড়ী প্রতিনিধিঃ নিজের উপার্জনের পাশাপাশি জীবিকা নির্বাহের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছিলেন জুড়ীর পশ্চিম ভবানীপুর গ্রামের আবুল কাসেম নামের এক ব্যবসায়ী। এ জন্য প্রায় দশ বছর আগে নিজের জমিতে একটি ঘর তৈরী করে লেয়ার মুরগির ফার্ম গড়ে তোলেন এই ব্যবসায়ী। প্রথমে ছোট পরিসরে মুরগ তুলেন। পরবর্তীতে আরো প্রসারিত করে সেই জায়গায় করেছেন দুই তলা বিল্ডিং। সেই বিল্ডিং এ প্রায় দুই হাজার মোরগ তোলে ছোট থেকে বড় পরিসরে  তার বিক্রি করে সংসার চলতো। পাশাপাশি ৪ জন কর্মচারী রেখেছেন তার ফার্মে কাজ করার জন্য। সম্প্রতি তার পার্শ¦বর্তী এক পরিবারের লোক তার বিরুদ্ধে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে এমন অভিযোগে এনে পরিবেশ অধিদপ্তর আবেদন করেন। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ও সরেজমিনে খোলা জায়গায় মুরগের বৃষ্টা ফেলার কারণে দুর্গন্ধে পরিবেশের ক্ষতি হওয়ায় পরিবেশ অধিদপ্তর তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে। এরপর কয়েক মাস বন্ধ থাকে তার ফার্ম। পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্দেশনামতে তিনি  ময়লা রাখার জন্য পরিবেশসম্মতভাবে পৃথক ট্যাংকি স্থাপন করেন। সেখান থেকে বায়োগ্যাস প্রদ্ধতিতে জৈব সার উৎপাদনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে করে আশপাশের পরিবেশ নষ্ট হওয়ার ঝুকি নেই।
সরেজমিনে শনিবার তার ফার্মে গিয়ে দেখা যায়, তিন দিকে প্রায় ১কি.মি চাষের জমি রয়েছে। একদিকে পশ্চিম ভবানীপুরের কয়েকটি বাড়ি রয়েছে, যেগুলোতে মানুষ বসবাস করেন। সেখানকার বাসিন্দা গফুর মিয়া, অহেদ মিয়া, বাচ্চু মিয়া, ইসলাম উদ্দীন, ব্যবসায়ী জাকির হোসেন ও আলমগীর হোসেন বলেন, কাসেম একটি কর্ম করে আয় রোজগার করছে। তার ফার্ম থেকে আগে দুর্গন্ধ আসতো টিক। তবে বর্তমানে সে পরিবেশ কর্মকর্তাদের কথায় ট্যাংকি করেছে। পাশাপাশি সার উৎপাদনের জন্যও পৃথক ট্যাংকি করেছে। এলাকার দুই -চার জনের ব্যক্তিগত সমস্যার কারনে তারা কাসেমের বিরোধিতায় লেগেছে।
আবুল কাসেম বলেন, আমি যেখানে ফার্ম করেছি তার চারদিকে আমার জায়গা। দূরে একটি অংশ আমি বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে  এই ফার্ম করেছি। যাদের কাছে বিক্রি করেছি তারাই মূলত আমার বিরুদ্ধে লেগেছে। তাদের কাছে জমি বিক্রির পূর্বেও আমার ফার্ম এখানে ছিলো। তাছাড়া জমি বিক্রির সময় তাদেরকে শর্ত দেওয়া ছিলো এখানে আমার ফার্ম নিয়ে কোন অভিযোগ করতে পারবে না। তারা সেই শর্ত মেনেই জমি ক্রয় করেছিলো। এখন ঝামেলা করছে। এরপরও তাদের আপত্তির কারনে আমি নতুন করে অনেক টাকা খরচ করে পরিবেশ সম্মতভাবে ফার্ম তৈরি করেছি। আমার এই ফার্মের মাধ্যমে আমার পরিবারের পাশাপাশি ৪ জনের পরিবার চলে।
পরিবেশ অধিদপ্তর মৌলভীবাজার পরিচালক মাহিদুল ইসলাম বলেন, পার্শ¦বর্তী বাসিন্দা তার ফার্মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে। বসতি থেকে  দেড়শত মিটারের কাছে বাড়ি থাকার কারনে তার পোল্ট্রি ফার্ম বন্ধ রাখতে বলেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *