হারিস মোহাম্মদঃ মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা রিয়াজ উদ্দিন (৩০) নামে এক যুবককে খুন করে উপজেলার দক্ষিণভাগ এলাকার মাধবছড়ার পাড়ে ফেলে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে মঙ্গলবার রাতে হত্যাকান্ডটি ঘটিয়ে তারা পালিয়েছে।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে কৃষকরা কাজ করতে গিয়ে কৃষকরা অজ্ঞাত যুবকের লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তৎপরতায় অজ্ঞাত লাশের পরিচয় সনাক্ত করা হয়। দুপুরে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। নিহত রিয়াজ উদ্দিন উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের দোহালিয়া গ্রামের মৃত ফরিদ আলীর ছেলে।
ধারণা করা হচ্ছে দুর্বৃত্তরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে রিয়াজের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর তার মূখ ও মাথা বিকৃত করে লাশ ফেলে গেছে। লাশের পাশেই একটি নতুন মানিব্যাগ ও এর ভেতর মহিউদ্দিন নামে এক বাঙারী ব্যবসায়ীর পাসপোর্টসাইজের একটি ছবি পাওয়া গেছে। ছবির সূত্র ধরে মহিউদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ, নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কুলাউড়া-চান্দগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়কের মাধবছড়া ব্রিজের প্রায় ১৫০ গজ পশ্চিম দিকে ছড়ার তীরের ধান ক্ষেতে স্থানীয় কৃষকরা বুধবার সকালে অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে থানার ওসি মো. ইয়াদৌস হাসান, সেকেন্ড অফিসার এসআই হাবিবুর রহমান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আজির উদ্দিন, প্যানেল চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলামসহ জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের পরিচয় সনাক্তের চেষ্টা করেন। পরে নিহতের মা কনাবি বেগম ছেলের লাশ সনাক্ত করেন।
মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইয়ারেদৗস হাসান বলেন, লাশের মাথায় একাধিক দায়ের কুপ রয়েছে। কুপের ক্ষত ও চোখে পাথর ঢুকিয়ে চেহারা বিকৃত করায় লাশ সনাক্তে কিছুটা সমস্যা হলেও পরে তার মা লাশ সনাক্ত করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার রহস্য উৎপাদনে তদন্ত চলছে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মহিউদ্দিনকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।