কুলাউড়ায় নতুন আঙ্গিকে বখতুন্নেছা চৌধুরী ডায়াবেটিস সেন্টারের উদ্বোধন

জেলা প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার:

উন্নত প্রযুক্তি এবং অত্যাধুনিক সব মেডিকেল সুযোগ সুবিধাসহ দীর্ঘ ২ দশকের স্বনামধন্য বখতুন্নেছা চৌধুরী ডায়াবেটিস সেন্টার নতুন আঙ্গিকে পথচলা শুরু হয়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে সেন্টারের শুভ উদ্বোধন করেন ইস্ট কোস্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট শিল্পপতি আজম জে চৌধুরী। এর আগে সকাল ১১টায় বৃহৎ পরিসরে নবরূপে ডায়াবেটিস সেন্টারের শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল ও ইস্ট কোস্ট গ্রুপের সিএসআর লিয়াকত আলী খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইস্ট কোস্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট শিল্পপতি আজম জে চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইস্ট কোস্ট গ্রুপের এমডি ও প্রাইম ব্যাংকের চেয়ারম্যান তানজিল আহমদ চৌধুরী, ইস্ট কোস্ট গ্রুপের পরিচালক দিলরুবা চৌধুরী, নির্বাহী পরিচালক মেজর জেনারেল নাঈম আশফাক চৌধুরী, কুলাউড়া পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ, কুলাউড়া থানার ওসি মোঃ আব্দুছ ছালেক প্রমুখ। দোয়া পরিচালনা করেন কাদিপুর ইউনিয়নের হোসেনপুর মধ্য জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোঃ দেলোয়ার হোসেন।

জানা যায়, কুলাউড়ার জনপদের সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিতে বখতুন্নেছা চৌধুরী ডায়াবেটিস সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেন ইস্ট কোস্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট শিল্পপতি আজম জে চৌধুরী। বর্তমানে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বৃহৎ পরিসরে সেই সেন্টারকে নতুন রুপে রূপান্তরিত করেন। প্রতি শুক্র ও শনিবার এই সেন্টারে ডায়াবেটিস সেবা ছাড়া এখানে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ সেবা মিলবে গাইনী এন্ড অবস, মেডিসিন, হৃদরোগ, শিশুরোগ, সার্জারী, অর্থোপেডিক্স, চক্ষু বিশেষজ্ঞ। ডায়াগনস্টিক সেবার মধ্যে ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসা, সকল প্রকার প্যাথলজি ও হরমোন পরীক্ষা, তাৎক্ষণিক রিপোর্টসহ ১০০ ভাগ ডিজিটাল এক্সরে সুবিধা, সার্বক্ষণিক মহিলা ডাক্তার দ্বারনা আল্ট্রাসনোগ্রামের ব্যবস্থা, ৪ডি কালার ডপলার আল্ট্রাসনোগ্রাম, ইসিজি (১২ চ্যানেল অটো রিপোর্ট), ইকোকার্ডিওগ্রাম, বিদেশ গমনে ইচ্ছুকদের সম্পূর্ণ মেডিকেল চেকআপ, নির্ধারিত মূল্যে ফার্মেসি থেকে ওষুধ প্রাপ্তির সুবিধা মিলবে।

ইস্ট কোস্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিল্পপতি আজম জে চৌধুরী বলেন, আমার মা একজন সাধারণ মানুষ ছিলেন। ২৩ বছর আগে আমার মায়ের ডায়াবেটিস পরীক্ষার জন্য কুলাউড়ায় তখন ভালো কোন সেন্টার পাইনি। সেই তাগিদ থেকে একটি অত্যাধুনিক ডায়াবেটিস সেন্টার প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নেই। প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এই সেন্টারকে এখন নতুনভাবে সাজানো হয়েছে। চিকিৎসার জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে। ভালো উদ্যোগ নিলে সেটা কখনো ব্যর্থ হয়না এটার প্রমাণ এই ডায়াবেটিস সেন্টার। কুলাউড়ার মানুষকে মানবিক সহায়তা দেবার জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছি। মানুষের জন্য বিবেকের তাড়নায় আমি সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছি। সাধারণ মানুষকে কিছু দিতে চাই। এসব সেবামূলক কাজে আমার বা পরিবারের রাজনৈতিক কোন ইচ্ছা নেই। সাধারণ মানুষের উপকারে আসে এ ধরণের সেবামূলক কর্মসূচি করে যাচ্ছি। মানুষের কল্যাণের জন্য দিনের অর্ধেক সময় কাজ করে যাচ্ছি। এটাই আমার জন্য সফলতা। সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য সদকায়ে জারিয়া হিসেবে এই হাসপাতালে ডায়াবেটিস ছাড়াও বিভিন্ন ধরণের চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, দেশের আজকের যে উন্নয়ন, তা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন। সাধারণ ও সুবিধাবঞ্চিত জনগণকে সকল উন্নয়নে সম্পৃক্ত করতে হবে। সব মহৎ কাজে সবাইকে সহযোগিতা করে এগিয়ে আসতে হবে।

বখতুন্নেছা চৌধুরী ডায়াবেটিস সেন্টার সূত্রে জানা যায়, এটি একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। যা বিগত দুই দশক ধরে কুলাউড়াবাসীর সেবায় নিবেদিত। সকল পরীক্ষায় ২৫ শতাংশ ডিসকাউন্ট দেয়া হয়। কুলাউড়ায় সর্বনিম্ন খরচে সর্বোচ্চ মানের চিকিৎসা সেবা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সর্বাধুনিক মানের চিকিৎসা সরঞ্জাম দিয়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সর্বোচ্চ মানের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করে। অনলাইনে ডাক্তারের সিরিয়াল দেয়ার সুব্যবস্থা এবং প্রয়োজনে হট লাইন এর মাধ্যমে রোগীদের এপয়েন্টমেন্ট নিশ্চিত করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *