কুলাউড়ায় প্রতিকুল আবহাওয়ার মধ্যেও থেমে নেই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম

ভোর থেকে গুড়িগুড়ি বৃষ্টির কারণে জীবনযাত্রায় কিছুটা স্থবিরতা সৃষ্টি হলেও সামাজিক কার্যক্রমে থেমে নেই কুলাউড়ার রবিরবাজারের স্টুডেন্ট সোসাইটির সদস্যরা। পূর্ব ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী ১৭ আগষ্ট শনিবারে প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে থেকে দিনব্যাপী পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালিয়েছেন উক্ত সংগঠনের শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, কুলাউড়া উপজেলার রবিরবাজার এলাকার অঞ্চলভিত্তিক নানা সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে স্টুডেন্ট সোসাইটি রবিরবাজার। সেই লক্ষ্যে ঐতিহ্যবাহী আলী আমজদ স্কুল এন্ড কলেজের সীমানা দেয়ালের পাশ থেকে অবৈধ ট্রাক স্ট্যান্ড অপসারণ করে ময়লা-আবর্জনার জমে থাকা স্তুুপগুলো পরিষ্কার করেছে।

দীর্ঘদিন থেকে স্কুলের পাশে দিনরাত অবৈধভাবে পার্কিং করা থাকতো ছোট- বড় ট্রাকগুলো। স্থানীয় শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী দীর্ঘদিন থেকে ট্রাকগুলো সরানোর দাবি করলেও তা আমলে নেয়নি ট্রাক মালিক ও চালকরা। সম্প্রতি দেশে ছাত্র আন্দোলনের চলমান পরিস্থিতিতে স্টুডেন্ট সোসাইটির সদস্যরা একান থেকে ট্রাক স্ট্যান্ড সরিয়েছেন। ট্রাক স্ট্যান্ড সরলেও দীর্ঘদিন থেকে এখানে ময়লা-আবর্জনা জমে ছিল। শনিবার দিনব্যাপী সংগঠনের প্রায় শতাধিক বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা বেলচা, বালতি, কোদাল, টুকরি দিয়ে আবর্জনাগুলো অপসারণ করে। এ সময় বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে শিক্ষার্থীদের এই কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সচেতন মহল। ইতিমধ্যে গত ৫ আগষ্টের পর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো কুলাউড়ার রবিরবাজারের বধ্যভূমি পরিষ্কার, ড্রেন পরিষ্কার, অবৈধ সিএনজি ও ট্রাক স্ট্যান্ড অপসারণ, দেয়াল গ্রাফিতি, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, বাজার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

সংগঠনের সদস্যরা জানান, তাদের এই কার্যক্রমে দেশ ও প্রবাসের অনেকেই সদস্যদের চা-নাস্তা খাবারের ব্যবস্থা ও অন্যান্য সহযোগিতা প্রদান করছেন। আমরা সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন এলাকা গড়তে সকল শিক্ষার্থীরা সম্মিলিতভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।

রবিরবাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মাসুক আহমদ জানান, দীর্ঘদিন থেকে রবিরবাজারের বিভিন্ন ধরনের ময়লা ও আবর্জনা জমেছিল। ড্রেনেজগুলোর অবস্থা করুণ ছিল। আমরা ইতিমধ্যে বাজার কমিটির পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসন সহ বিভিন্ন দপ্তরে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আবেদন করেছিলাম। অর্থের অভাবে রবিরবাজারের নৈশ প্রহরী সংকট ও নানা উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা সম্ভব হচ্ছিল না। শিক্ষার্থী ভাই ও বোনেরা যে কাজগুলো করছেন তা প্রশংসার দাবিদার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *