শ্রীমঙ্গল পৌরসভার প্রশাসকের দায়িত্বে শাহীনা আক্তার ও উপজেলা পরিষদের প্রশাসকের দায়িত্বে ইউএনও

এহসান বিন মুজাহির : মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল পৌরসভায় প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পেলেন মৌলভীবাজার জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শাহীনা আক্তার।
রোববার (১৮ আগস্ট) স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এর আগে পৃথক প্রজ্ঞাপনে পৌরসভার মেয়র মহসিন মিয়া মধু-কে কে অপসারণ করা হয়েছে।
পৌরসভায় প্রশাসক নিয়োগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এতদ্বারা স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ এর ধারা-৪২ক এর উপধারা মোতাবেক পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তাকে শ্রীমঙ্গল পৌরসভার প্রশাসক নিয়োগ প্রদান করা হলো।

নিয়োগকৃত প্রশাসকগণ স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ এর ধারা ৪২(ক) এর উপধারা ৩ মোতাবেক পৌরসভার মেয়রের ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করবেন। একই দিন পৃথক প্রজ্ঞাপনে শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ভানু লাল রায়কে অপসারণ করে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আবু তালেব-কে উপজেলা পরিষদের প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রশাসকরা নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে এ দায়িত্ব পালন করবেন। দায়িত্ব পালনকালীন বিধি মোতাবেক দায়িত্ব ভাতা প্রাপ্য হবেন। এছাড়া অন্য কোনো আর্থিক ও অন্যান্য সুবিধা প্রাপ্য হবেন না। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

১৬ আগস্ট সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, বর্তমান প্রেক্ষাপটে, বিভিন্ন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান অধিক্ষেত্রে জনগণকে নিরবচ্ছিন্ন সেবা প্রদান নিশ্চিতকরণ, প্রশাসনিক কার্যক্রম চলমান রাখা ও জরুরি কারণে, সময়ের প্রয়োজনে, জনস্বার্থে ‘স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’, ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’, ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ ও ‘উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারির লক্ষ্যে প্রস্তাবিত অধ্যাদেশসমূহের খসড়া উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন করা হয়েছে।

তথ্য বিবরণীতে আরও জানানো হয়, বিশেষ পরিস্থিতিতে অত্যাবশ্যক বিবেচনা করলে সরকার জনস্বার্থে কোনো সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র এবং কাউন্সিলরকে অপসারণ করতে পারবে। একইভাবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের অপসারণ করতে পারবে। একই সঙ্গে এগুলোতে প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবে সরকার।

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার গণঅভুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকে জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় আওয়ামী লীগ সমর্থক চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মেয়র, কাউন্সিলররা অনুপস্থিত থাকায় নাগরিক সেবা ব্যাহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে আইন সংশোধনের এ উদ্যোগ নেয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *