‘চ্যানেলটির গৃহপালিত অনেক শিল্পী ছিলো’ তাপস কে তানসেন বলে যা বললেন এই শিল্পী

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি। কিন্তু এতদিন ছিলেন কোনটাসা। কারণ রাজনৈতিক দল বিএনপির সঙ্গে তার ছিল ঘনিষ্ঠতা। এর ফলে গত কয়েক বছরে তাকে কনসার্টে গান গাইতে দেয়া হয়নি।
এমনকি তৎকালীন সরকারের ‘জয় বাংলা’ কনসার্টে ছিলেন না তি। বলা যায় কাজ থেকেই ছিলেন দূরে ছিলেন। এখন সরকার পরিবর্তন হয়েছে। গেল ৫ আগস্ট পালিয়ে গেছেন স্বৈরাচার সরকার শেখ হাসিনা।
আস্তে ধীরে অনেক বিষয় নিয়েই মুখ খুলতে শুরু করেছেন শিল্পীরা। যেমন এবার তিনি লিখলেন মিউজিক চ্যানেল গান বাংলা ও তার মালিক তাপস কে নিয়ে।

আজ বিকেলে তিনি একটি ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘এই দেশে প্রাণ বাংলা নামে একটি গানের চ্যানেল ছিলো। চ্যানেলটিতে সাদা পোশাক পরা স্বয়ং তানসেন ছিলো।
তানসেনের একজন বৌ ছিলো। চ্যানেলটির গৃহপালিত অনেক শিল্পী ছিলো। বৌটি সেসব শিল্পীর প্ৰিয় ভাবী ছিলো। চ্যানেলটিতে এতো বেশি শিল্প চৰ্চা হতো যে সেখানে রাতভর সংগীত বিষয়ে গবেষণা হত, সেটা আবার জাতি সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে লাইভে দেখতে এবং শুনতে পেতো।

তিনি আরও লেখেন, ‘তানসেন এন্ড ফ্রেন্ডস ‘ সারা বছর জুড়ে হেলিকপ্টারে চড়ে বাংলার আনাচে কানাচে জয় বাংলা কনসার্ট করে দর্শক মাতিয়ে রাখায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।
তানসেনের খালি কণ্ঠে গাওয়া ’ দে তালি বাঙালি ‘ গানে পালায় না বলেও ভারতে পালিয়ে যাওয়া নেত্রী হাসিমুখে হাততালি দিয়েছেন। নেত্রীর অনুসারী গণ বিভিন্ন উপলক্ষ্যে প্রায়শই কালো রং করা চ্যানেলটিতে গিয়ে নিজেদের জং ধরা কণ্ঠ ঝালাই দিতেন এবং বাহবা কুড়াতেন। বিদেশ থেকে একঝাঁক যন্ত্র শিল্পী এনে দেশীয় শিল্পীদের মেলবন্ধনে ‘ দিনবদলের হাওয়া ’ নামে একটি নিয়মিত অনুষ্ঠান তানসেন এবং তানসেন পরিবারের ভাবী জাতিকে উপহার দিয়েছে। নতুন আঙ্গিকে পুরাতন গানগুলোর পরিবেশনা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবীদার কিন্তু প্রতি গানে অযাচিত তানসেনের উপস্থিতি দর্শক মনে প্রচন্ড বিরক্তির উদ্রেক করেছে। তানসেন এবং তার স্ত্রী চ্যানেলের নিয়মিত অনুষ্ঠানের বাইরেও পারিবারিক জমকালো অনুষ্ঠান করতে গিয়ে এতো অর্থের জোগান কোথা থেকে পান ; আমাদের অবুঝ মনে সেইসব সবুজ প্রশ্ন প্রায়শই জেগে ওঠে।

এত কথা বলার কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘এতো কথা বলছি কারণ এখন কিছু টিভি চ্যানেল বন্ধের জোর দাবী উঠছে। বিগত সময়ে আমি বা আমরা বিতর্কিত কিছু চ্যানেলের ভুয়া শিরোনাম, কোনঠাসা কিংবা আধিপত্যর শিকার হয়েছি। তবুও আমি ব্যক্তিগত ভাবে কোনো টিভি চ্যানেল বন্ধের পক্ষে না। বরং প্রশ্নবিদ্ধ চ্যানেলগুলোর মালিকানা এবং পরিচালনা পরিষদে পরিবর্তন আনা হোক। কেননা বিগত সরকারের সময়ে অনেক চ্যানেল এর মালিকপক্ষ মালিকানা হস্তান্তর, এমনকি অনেকে জোরপূর্বক নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে বিতাড়িত হয়েছেন।’

ন্যানসি শেষ করেছেন এভাবে,‘‘শোনা যায় ‘ প্রাণ বাংলা ’ নামের বাংলাদেশের একমাত্র গানের চ্যানেলটি প্রকৃত মালিকের কাছ থেকে দখল করে নেয়া হয়। এ বিষয়ে তদন্ত প্রয়োজন বলে মনে করি। চ্যানেলগুলো হতে হবে সরকারের চাটুকারিতা এবং রাজনীতির বলয় মুক্ত।’’

উল্লেখ্য, বিটিভির জন্য যারা কেঁদে আকুল হয়েছিলেন তারা আগামী কিছুদিন অন্তত বিটিভি দেখুন। এমন দেশ কি আদৌ চেয়েছিলাম না জপে বিটিভির প্রচার মান এতো স্বল্প সময়ে এতো উন্নত হলো কি করে ; এই কথা জপুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *