অনৈতিক প্রস্তাব প্রসঙ্গে মুখ খুললেন ঋতাভরী

অনলাইন ডেস্ক :

কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজের এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর খুনের ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে কলকাতাবাসী। এরই মাঝে হেমা কমিটির রিপোর্টকে কেন্দ্র করে তোলপাড় চলছে মালায়ালাম ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। এ পরিস্থিতিতে নিজের সঙ্গে ঘটা তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুললেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। এ আলাপচারিতায় জানতে চাওয়া হয়, আপনি তো অনেক ছোট বয়স থেকে কাজ করছেন। নিরাপত্তাহীনতায় ভোগার দিনগুলো কেমন ছিল?

জবাবে ঋতাভরী চক্রবর্তী বলেন, “অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলেছি, নিজেও অনেক বছর এটা বিশ্বাস করতে চাইনি। ভালোটাই দেখতে চেয়েছি। সবচেয়ে খারাপ অভিজ্ঞতা ক্যারিয়ারের শুরুর দিকেই হয়েছিল। অর্থাৎ ‘ওগো বধূ সুন্দরী’ ধারাবাহিকের পর। যখন আমার কুড়ি-একুশ বছর বয়স। যখন আমি প্রতিষ্ঠিত নই, শুধুই পরিচিত মুখ। এমন পরিচিত মুখের বিপদ সবচেয়ে বেশি। সবাই তাকে টার্গেট করতে শুরু করে। এটা যেন নর্ম ধরে নিয়েছে, যে কাজ পেতে গেলে আপোশ করতে হবে।”

নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতার বর্ণনা করে ঋতাভরী বলেন, “সবাই যে সরাসরি বিছানায় যাওয়ার প্রস্তাব দেয় তা নয়। একজন বড় অভিনেতা এক ব্যক্তির মাধ্যমে আমাকে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার প্রস্তাব দেন এবং আমি তা প্রত্যাখ্যান করেছিলাম। সেই বিষয়ে একজন সিনিয়র জার্নালিস্টের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলাম। সেই জার্নালিস্ট আমাকে বলেছিলেন যে, ‘এত বড় সুযোগ হাতছাড়া করলে! ইন্ডাস্ট্রিতে থাকতে গেলে এটুকু তো মেনে নিতেই হবে। ওইরকম একটা মানুষ তোমাকে কাছে পেতে চাইছে!’ এমন শিক্ষিত মানুষের কাছে এটা আমি আশা করিনি। বলেই দিয়েছিলাম, এসব আমি পারব না।

উনি বলেছিলেন, ‘তাহলে তুমি কবিতা লেখো, অভিনয় করে কাজ নেই।’ এটা আমার কাছে খুব হতাশাজনক ছিল।” ‘ওগো বধূ সুন্দরী’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে টেলিভিশনে আত্মপ্রকাশ করেন ঋতাভরী। ২০১১ সালে ‘তোমার সঙ্গে প্রাণের খেলা’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন। যদিও চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়নি। ২০১২ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘তবু বসন্ত’। ঋতাভরী অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো- ‘চতুষ্কোণ’, ‘বারুদ’, ‘পরী’, ‘শেষ থেকে শুরু’ প্রভৃতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *