মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
কুলাউড়া উপজেলার হাকালুকি হাওরতীরের ভুকশিমইল ইউনিয়নেই কেবল ১ হাজার ৮১ নলকূপে আর্সেনিক পাওয়া গেছে। শুধু আর্সেনিক নয় এসব গভীর ও অগভীর নলকূপে উচ্চ মাত্রার আয়রণের কারণে মানুষ পানি পান করতে পারে না। ১৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে আর্সেনিক ঝুঁকি নিরসনে কমিউনিটির সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সকলের জন্য নিরাপদ পানি নিশ্চিতকরণ প্রকল্প অবহিতকরণ ও পরিকল্পনা কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রকল্পের এরিয়া ম্যানেজার মোহাম্মদ সাদেক সফিউল্লার সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন প্রোগ্রাম চীফ মো. মিজানুর রহমান। মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রজেক্ট ম্যানেজার সাইয়েদ এ এইচ সানী।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ইউনিসেফ সিলেট বিভাগীয় প্রধান কাজী দিল আফরোজ ইসলাম, কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফেরদৌস আক্তার, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো: মোহসিন ও যুগান্তর প্রতিনিধি আজিজুল ইসলাম প্রমুখ।
সভায় জানানো হয়, উক্ত প্রকল্পের আওতায় কুলাউড়া উপজেলার কাদিপুর, ভূকশিমইল, কুলাউড়া সদর ও রাউৎগাঁও ৪ ইউনিয়ন আর্সেনিক জরিপ পরিচালনা করা হয়। এরমধ্যে সবচেয়ে আর্সেনিক ঝুঁকিতে রয়েছে ভূকশিমইল ইউনিয়ন। প্রকল্পের আওতায় ২০২৫ সালের মধ্যে এসব ইউনিয়নকে আর্সেনিক সেইফ ইউনিয়ন ও খোলা জায়গায় পায়খানা নয় শতভাগ অর্জন করতে বা ঘোষনা করতে হবে। ইউনিসেফের অর্থায়নে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও এশিয়া আর্সেনিক নেটওয়ার্ক উক্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এটি একটি পাইলট প্রকল্প। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে কুলাউড়ার ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় এই প্রকল্পের আওতায় আর্সেনিক জরিপ কাজ পরিচালনার দাবি জানানো হয়।