স্কুলের ‘উন্নতির’ জন্য দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রকে ‘বলি’!

ফের একবার খবরের শিরোনামে ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের হাথরাস। হাথরাসের রাসগাঁও এলাকায় এক প্রাইভেট স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রের খুন ঘিরে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। জানা গেছে, স্কুল ও স্কুলের ডিরেক্টরের ব্যক্তিগত সাফল্যের জন্য, ওই ছাত্রকে তন্ত্রমতে ‘বলি’ দেয়া হয়। অভিযোগ, স্কুলের হস্টেল থেকে ওই ছাত্রকে তুলে নিয়ে যান স্কুলেরই মালিক এবং তিন শিক্ষক-সহ পাঁচ জন। ছাত্রটি চিৎকার করতেই তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। শুধু তা-ই নয়, তাকে খুন করার আগে তন্ত্রসাধনাও করা হয়। হাথরাসের বেসরকারি স্কুলের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই হুলস্থুল পড়ে গেছে। ২৩ তারিখ ওই ছাত্রের মৃত্যুর খবর সামনে আসে।

স্রেফ কুসংস্কারের বশে স্কুলের উন্নতির আশায় ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রকে হস্টেলের মধ্যে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার দিনের কথা বলতে গিয়ে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে মৃতের বাবা শ্রীকিষাণ কুশওয়াহা বলেন, ২৩ তারিখ বিকেল ৫টা নাগাদ আমাকে স্কুল থেকে ফোন করে বলা হয় ছেলে খুব অসুস্থ। আমি তাকে বাড়িতে নিয়ে আসতে বলি। কিন্তু তাতে ওরা রাজি হননি। স্কুল থেকে আমার বাড়ির দূরত্ব ছ-কিলোমিটার। আমি রওনা দিয়েছিলাম। কিন্তু ওরা কখনও বলছিলেন শাহদাবাদে আছেন, কখনও বলছিলেন খণ্ডোলিতে আছেন। আমাকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছিল। দেড় ঘণ্টা পরে দীনেশের কাছে আমার ছেলের দেহ দেখতে পাই।

তদন্তে উঠে এসেছে ‘কালো জাদু’ সম্পর্কিত ঘটনা থেকেই এই খুন। বিস্ফোরক তথ্যে জানা যাচ্ছে, এর আগেও সেপ্টেম্বরের ৬ তারিখে ও স্কুলের আরও একজনকে খুন করার চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। তবে সে শেষমেশ প্রাণে রক্ষা পায়। ঘটনায় জেলা শিক্ষা অধিকারিক স্বাতী ভারতি স্কুলটিকে বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি আরও অভিযোগ উঠছে, স্কুলটিকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত চালানোর অনুমোদন দেওয়া ছিল। কিন্তু অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সেখানে পাঠদান হতো। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের নজরদারি নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ছাত্রকে বলি দেওয়ার অভিযোগে এখনো পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *