বড়লেখা প্রতিনিধি : বড়লেখা উপজেলার নিজ বাহাদুরপুর ইউনিয়নের হলদিরপাড় জামে মসজিদের মোয়াজ্জিন হোসাইন আহমদ মাছুমকে ঘুমন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা ও মোটরসাইকেল পুড়ানোর অভিযোগে উশৃঙ্খল যুবক আব্দুল হামিদকে (২২) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে গ্রামবাসি। পরদিন ১৭ অক্টোবর পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুর রউপ আদালতে আসামীর তিন দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করেছেন। আব্দুল হামিদ নিজ বাহাদুরপুর গ্রামের হলদিরপারের আব্দুর রশিদের ছেলে।
জানা গেছে, গত ১৪ অক্টোবর গভীর রাতে মসজিদের হুজরার বাউন্ডারি টপকিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে অভিযুক্ত আব্দুল হামিদ হুজরার বারান্দায় রাখা মোটরসাইকেলে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় সে মোয়াজ্জিনের ঘরের দরজা বাহির থেকে আটকে রাখে যাতে মোটরসাইকেলের আগুন ভেতরে ছড়িয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় তিনি পুড়ে মারা যান। তবে, আগুন দেখে প্রতিবেশিরা এগিয়ে জানালা দিয়ে মোয়াজ্জিনকে ডেকে তোলায় তিনি প্রাণে বেঁচে যান। এমন বর্বরোচিত ঘটনায় মসজিদ কমিটি ও গ্রামবাসি সোচ্চার হয়ে ঘটনাকারিকে খুঁজতে থাকেন। এরই মাঝে অভিযুক্ত আব্দুল হামিদ গ্রামের কয়েকজনের সাথে দম্ভোক্তি করে বলেছে, মোয়াজ্জিন হোসাইন আহমদ মাছুম তার সাথে একদিন তর্কবিতর্ক করেছেন, এইজন্য সে তাকে পুড়িয়ে মারতে হুজরায় মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছিল। এই স্বীকারোক্তির সূত্র ধরে গ্রামবাসি বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাতে আব্দুল হামিদকে আটক করেন। গ্রাম পঞ্চায়েতের জেরার মূখে সে মোয়াজ্জিনকে মেরে ফেলতে উনার মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও বাহির থেকে দরজা বন্ধ করে রাখার সত্যতা স্বীকার করে। এছাড়াও সে গ্রামের মতিউর রহমান, আব্দুল জব্বারসহ আরো কয়েকজনের খড়ের ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার স্বীকারোক্তি প্রদান করেন।
বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিএসআই ফখরুজ্জামান বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুর রউফ সোমবার আসামি আব্দুল হামিদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করেছেন। বিজ্ঞ আদালত রিমান্ড প্রার্থনাটি শুনানির জন্য রেখেছেন।