ভেরেইনার সেঞ্চুরির পর ৩০৮ রানে অলআউট দ. আফ্রিকা, লিড ২০২

ডেস্ক রিপোর্ট : লোয়ার অর্ডারে ভিয়ান মুল্ডারের পর ড্যান পিটের সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন কাইল ভেরেইনা। পৌঁছে যান ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে।
তবে তিন অঙ্ক স্পর্শের পর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি। মেহেদী হাসান মিরাজের শিকার হয়ে দলের শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন ১১৪ রানে।

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্টে ২০২ রানের লিড নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩০৮ রানে গুটিয়ে যায় তারা।

এর আগে প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ৬ উইকেটে ১৪০ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের দুই অপরাজিত ব্যাটার দুর্দান্ত শুরু করেন দ্বিতীয় দিনে। ধীরে ধীরে লিডও বাড়তে থাকে প্রোটিয়াদের। কাইল ভেরেইনের সঙ্গে ভিয়ান মুল্ডারের জুটিতে রানও আসতে থাকে।

বোলিংয়ে বাংলাদেশকে ভোগানো মুল্ডার হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ব্যাট হাতেও। ১৪তম টেস্টে এসে প্রথম ফিফটি পেলেন তিনি, এর আগে তার সর্বোচ্চ ছিল ৪২ রান। এর আগে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অবশ্য ১১টি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন মুল্ডার।

হাফ সেঞ্চুরি থেকে তিন রান দূরে থাকতেই ফিরতে পারতেন মুল্ডার। কিন্তু নাঈম হাসানের বলে শর্ট লেগে তার ক্যাচ ছেড়ে দেন মুমিনুল। এরপর ম্যাচ বাংলাদেশের থেকে ক্রমেই দূরে সরে যেতে থাকে। তখনই দলের জন্য ত্রাতা হন হাসান মাহমুদ। দলকে প্রথম উইকেট এনে দিয়েছিলেন তিনিই। পরের পাঁচটি উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। দ্বিতীয় দিনের সকালের সেশনে যখন ম্যাচ দূরে সরে যাচ্ছিল, তখন টানা দুই বলে দুই উইকেট এনে দিয়েছেন তিনি। শুরুটা করেন মুল্ডারকে দিয়ে।

১১২ বলে ৫৪ রান করে তিনি ক্যাচ দেন স্লিপে। পরের বলেই কেশভ মহারাজকে বোল্ড করে দেন হাসান। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগলেও সেটি অবশ্য পূরণ হয়নি। প্রথম সেশনের শেষটা আরও রঙিন করতে পারতেন তিনিই।

কিন্তু পারেননি রান আউটের সুযোগ হাতছাড়া করে। হাসান মাহমুদের ফুল টসে সোজা খেলেন পিট। বোলারের হাত ছুঁয়ে স্টাম্পেই লাগে বল, তখন নন স্ট্রাইকার ক্রিজের ভেতরই আছেন। কিন্তু হুট করে স্ট্রাইক প্রান্ত থেকে ব্যাটার দৌড় শুরু করেন।

শুরুতে হাসান মাহমুদ বুঝতে না পারলেও পরে বলের দিকে দৌড়ে যান। কিন্তু তিনি যতক্ষণে থ্রো করেন, ততক্ষণে ব্যাটার অনেক দূর পৌঁছে গেছেন; হাসানের থ্রোও ব্যাটারের গায়ে লাগে।

লাঞ্চের পর পিটের সঙ্গে জুটি আরও পোক্ত করেন ভেরেইনা। তাইজুল ইসলামকে সুইপ মেরে ১৩৪ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। এশিয়ার মাটিতে পাঁচ বছর পর সেঞ্চুরির দেখা পেলেন কোনো প্রোটিয়া উইকেটরক্ষক। এর আগে সবশেষ সেঞ্চুরি এসেছিল কুইন্টন ডি ককের ব্যাট থেকে।

প্রতিপক্ষের লোয়ার অর্ডার থেকে এমন প্রতিরোধ বাংলাদেশের কাছে নতুন কিছু নয়। অবশেষে ৩২ রান করা পিট এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে স্বস্তি এনে দেন মিরাজ। ভাঙেন ৬৬ রানের জুটি। এরপর তার বলেই ভেরেইনাকে স্টাম্পিং করেন লিটন দাস। ১৪৪ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ১১৪ রান করেন ভেরেইনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *