বলা যায় নাজমুল হুদা ফয়সালের কাছেই বিধ্বস্ত হয়েছে ম্যাকাও।
প্রিন্স স্টেডিয়ামে প্রতিপক্ষের ওপর বাংলাদেশ কতটা আধিপত্য দেখিয়েছে তা স্কোরকার্ডেই ফুটে উঠেছে। বলাটা তাই নিষ্প্রয়োজন। তবে গোল পেতে ঠিকই অপেক্ষা করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। বিরতিতে যাওয়ার ঠিক ৫ মিনিট আগে বাংলাদেশকে লিড এনে দেন ফয়সাল।
বিরতি শেষে বাংলাদেশ যে এমন গোল বন্যায় ভাসাবে প্রতিপক্ষকে সেটা হয়তো ঘুণাক্ষরে ভাবেনি ম্যাকাও। ভাবনায় না আসাটাই স্বাভাবিক। যে দলকে ৪০ মিনিট পর্যন্ত গোল করতে রুখতে পারে তারা দ্বিতীয়ার্ধে এতটা ভয়ানক হবে সেটার সম্ভাবনা কমই থাকে। তবে দিনটা যে বাংলাদেশের। আর গোল বলের খেলায় দিনটা নিজেদের হলে এমনটা অস্বাভাবিকও নয়। আজ প্রিন্স স্টেডিয়ামে সেটাই করে দেখাল ফয়সাল-মানিকরা।
দ্বিতীয়ার্ধে ৯ মিনিটের ব্যবধানে ৪ গোল দিয়ে ম্যাকাওকে একদম উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। ৬৬ মিনিটে গোলরক্ষক অ্যালেক্সকে সামনে দেখতে পেয়ে দারুণ এক চিপ ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মানিক। সেই রেশ শেষ হতে না হতেই মানিক সতীর্থকে দিয়ে গোল করান। এবার দলের হয়ে তৃতীয় গোল করেন রিফাত কাজী। ৪ মিনিট পর ৭১ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের চতুর্থ গোল করেন মানিক। অবশ্য গোলটি আত্মঘাতী হওয়ার কথা ছিল। কারণ ডান প্রান্ত থেকে যখন তিনি শট নেন প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের শরীরে লেগে বল জালে জড়ায়।
ম্যাচের বাকি সময় চলে ফয়সাল ম্যাজিক। ৭৫ মিনিটে তাকে মুখে তুলে দেওয়ার মতো এক গোল বানিয়ে দেন মানিক। ডান প্রান্তে পাওয়া বলে শুধু গোলরক্ষককে বিট করা প্রয়োজন। সে কাজটা দারুণভাবেই করেছেন ফয়সালও। ৮১ মিনিটে তুলে নেন হ্যাটট্রিক। স্পটকিক বরাবর ফাঁকা জায়গায় বল পেয়ে ডান পায়ে জোরালো শটে লক্ষ্য ভেদ করেন তিনি। আর ম্যাকাওয়ের জালে শেষ পেরেক মারেন ৮৩ মিনিটে। বাংলাদেশের ফুটবলারদের এমন দাপুটে পারফরম্যান্সের সামনে চোখমুখে হতাশা ফুটে উঠেছিল ম্যাকাওয়ের খেলোয়াড়দের। রেফারি শেষ বাঁশি বাজালেই যেন তারা হাফ ছেড়ে বাঁচে যায়।