ব্যক্তিগত ৬ রানে ড্রেসিংরুমে ফেরার কথা ছিল টনি ডি জর্জির। সেই তিনি এখন দিন শেষেও অপরাজিত। ক্যারিয়ারের অভিষেক সেঞ্চুরি করার পর এখন দেড় শ রানের দিকে ছুটছেন তিনি। তার ও ত্রিস্তান স্টাবসের জোড়া সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহ প্রোটিয়াদের।
চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩০৭ রান। ১০ চার ও ৩ ছক্কায় ১৪১ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত আছেন ডি জর্জি। বাঁহাতি ওপেনারের সঙ্গে ১৮ রানে ব্যাটিংয়ে আছেন ডেভিড বেডিংহাম।
স্টাবস-ডি জর্জি দুজনই অভিষেক সেঞ্চুরি পেয়েছেনছবি : কালের কণ্ঠ, চট্টগ্রাম থেকে
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরু পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ওপেনিং জুটিতে সেঞ্চুরিয়ান ডি জর্জির সঙ্গে ৬৯ রানের জুটি গড়েন এইডেন মার্করাম। ৩৩ রানে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ককে আউট করে বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দেন তাইজুল ইসলাম। অথচ, মার্করামের আগেই আউট হওয়ার কথা ছিল ডি জর্জির।
হাসান মাহমুদ সপ্তম ওভারের প্রথম বলে দারুণ এক সুযোগ তৈরি করেছিলেন। কিন্তু ডি জর্জির ব্যাটের কানায় লেগে পেছনে ক্যাচ গেলে তা তালুবন্দি করতে ব্যর্থ হন অভিষিক্ত মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন।
বাংলাদেশি উইকেটরক্ষক অঙ্কন জীবন দেওয়ার পর থেকে সারাদিন রাজত্ব করেছেন ডি জর্জি। তাকে দুর্দান্ত সঙ্গ দিয়েছেন স্টাবস। দুজনে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে শুধুই হতাশা উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশি বোলারদের।
দ্বিতীয় উইকেটে ২০১ রানের জুটি গড়ে প্রোটিয়াদের এনে দিয়েছেন বড় রানের ভিত। দুর্দান্ত জুটি গড়ার পথে সেঞ্চুরিও তুলে নিয়েছেন দুজনে। ডি জর্জির মতো অভিষেক সেঞ্চুরি পেয়েছেন স্টাবসও।
স্টাবসকে আউট করার পর অধিনায়ক শান্তর সঙ্গে উদযাপন করছেন তাইজুল। দিনের অন্য উইকেটও তারই। ছবি : কালের কণ্ঠ, চট্টগ্রাম থেকে
ডি জর্জি বাংলাদেশি ব্যাটারদের গলার কাঁটা হয়ে থাকলেও সেঞ্চুরির পরেই আউট হয়েছেন স্টাবস। ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ১০৬ রানের ইনিংস সাজিয়েছেন তিনি। দিনের শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হয়েছেন তাইজুলের বলে বোল্ড হয়ে। সারাদিনে ৮১ ওভার শেষে বাংলাদেশের সাফল্য তাইজুলের ওই ২ উইকেট। আলোকস্বল্পতার কারণে আগেই দিনের খেলা শেষ না হলে হয়তো হতাশা আরও বাড়ত বাংলাদেশের।