কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি :
কুলাউড়া উপজেলার শাহ সুন্দর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুল কাইয়ুমের বিরুদ্ধে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতিসহ ১২ সদস্যের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে গ্র্যাচুইটি তহবিল হতে টাকা উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির ৩ সদস্য এ ব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
শাহসুন্দর উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য মোমিন চৌধুরী, নাদিম মাহমুদ এবং শিক্ষক প্রতিনিধি প্রনয় কুমার পালের লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুল কাইয়ুম বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির তৎকালীন সভাপতি ও কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোছাদ্দিক আহমদ নোমান, শিক্ষক প্রতিনিধি প্রনয় কুমার পাল, মো. জিয়াউর রহমান, মাধুরী রানী গোয়ালা, অভিভাবক সদস্য মোমিন চৌধুরী, আব্দুল মোক্তাদির চৌধুরী, অশোক কুমার যাদব, সুধত্র্য দেব নাথ, নাদিম মাহমুদ রাজু, সন্ধ্যা শব্দকরসহ কমিটির ১২ সদস্যের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে গ্র্যাচুইটি ফান্ডের ৬ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। শুধু তাই নয় গত ১ আগস্ট রেজিস্ট্রার খাতায় ৩ পৃষ্ঠার একটি সভার একটি কার্যবিবরণি লিপিবদ্ধ করেন। বিষয়টি জানতে পেরে কমিটির সদস্যরা গত ২০ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মহিউদ্দিন অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য সহকারি কমিশনার (ভূমি) কে নির্দেশ দেন।
এদিকে তদন্তের খবর পেয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা চালান প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুল কাইয়ুম। অভিযোগকারী সদস্যদের দিয়ে অভিযোগ প্রত্যাহারেরও অপচেষ্টা চালান। এদিকে গত ০৭ নভেম্বর বিদ্যালয়ে সরেজমিন গিয়ে তদন্ত করেন কুলাউড়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) শাহ জহুরুল হোসেন। তিনি জানান, ইউএনও স্যারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিবো। আপাতত তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে এর বেশি কিছু বলা যাবে না।
অভিযোগ প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল কাইয়ুম জালিয়াতি করে টাকা উত্তোলনের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমার পরিবার যুক্তরাষ্ট্রে থাকে। আমি সেখানে যাওয়ার জন্য টাকার প্রয়োজন পড়ে। তাই তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে কমিটির সবাইকে একত্রিত করে সভা করা ওইসময় সম্ভব হয়নি বলে আমি নিজে সবার স্বাক্ষর দিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করেছি। কমিটির সদস্যদের মতামত ছাড়া এমন কাজটি করা ঠিক হয়নি, এজন্য আমি অনুতপ্ত। কমিটির সকল সদস্যদের কাছে আমি দু:খ প্রকাশ করছি। এ ব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মহিউদ্দিন জানান, তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।