মৌলভীবাজারে স্কুল চলাকালে শিক্ষার্থীকে কক্ষে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ

বিশেষ প্রতিবেদক:  দি ফ্লাওয়ার্স কে.জি.এন্ড হাই স্কুলের ৪র্থ শ্রেনীর শিক্ষার্থী মো: আরিয়ান হোসেন কাব্যকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে আহত করেছে একই প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র ক্লাসের শিক্ষার্র্থী। পরে স্কুলের শিক্ষরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। ১১ নভেম্বর সোমবার দুপুর ১ টার দিকে স্কুলের ভেতর ঘটনাটি ঘটে।
শিক্ষার্থীর অভিবাবক আনোয়ার হোসেন স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, স্কুল চলাকালীন সময় আনুমান দুপুর ১ ঘটিকায় অত্র বিদ্যালয়ের জনৈক শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষকের কক্ষের সামনে থেকে তার কনিষ্ঠ ছেলেকে মুখ চেপে ধরে ওই ভবনের ১টি কক্ষে নিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। তাকে প্রথমে লাটি দিয়ে পিঠে আঘাত করে ও পরবর্তীতে তার ব্যাগ থেকে ধারালো চাকু বের করে আঘাত করকে চাইলে দৌড়ে বের হয়ে আসে। তাৎক্ষনিক অত্রবিদ্যালয়ের শিক্ষিকা রোকসানা ম্যাডামকে ভয়ের সাথে জড়িয়ে ধরে পূরো ঘটনা তাকে বলে। রোকসানা ম্যাডাম ওই সময় তাকে প্রধান শিক্ষকসহ ম্যানেজিং কমিটির একজন সদস্যকে জানান। এ সময় প্রধান শিক্ষক ধমক দিয়ে শিক্ষার্থী আরিয়ানকে ক্লাসে চলে যেতে বলে। প্রধান শিক্ষককের ধমক খেয়ে ক্লাসে চলে যায় এবং ক্লাস শিক্ষককে আবার ঘটনাটি বলে।
অভিবাবক আনোয়ার হোসেন জানান, প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য তাৎক্ষনিক কোন ব্যবস্থা নেয়ায় স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসকের কাছে ১৩ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ পেয়ে জেলা প্রশাসক একজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে স্কুলে পাঠান ও সিসি ক্যামরার ফুটেজ দেখা হয়। যে কক্ষে নির্যাতন করা হয়েছে সেই কক্ষটির সিসি ক্যামরায় বর্তমানে কোন ফুটেজ পাওয়া যায়নি। অভিবাবক আনোয়ার হোসেন আরও জানান, সিসি ক্যামরা ফুটেজ উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে নষ্ট করা হয়েছে। তার ছেলেকে পিঠে ও বিভিন্ন স্থানে আঘাত করাতে তার নাক দিয়ে রক্ত বের হয় ও চোখে ঝাপসা দেখে। তাকে তাৎক্ষনিক মেডিসিন চিকিৎসক ও চোখের চিকিৎসক দেখানো হয়।
এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো: রেজাউল করিম জানান, মারামারির ঘটনা স্কুলে হয়নি। এবিষয়ে জেলা প্রশাসক স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও একজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে ২ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *