সাইমের সেঞ্চুরিতে ঐতিহাসিক ধবলধোলাই

ডেস্ক রিপোর্ট : ৩৩ বছরের ওয়ানডে ইতিহাসে এর আগে কখনোই ঘরের মাঠে ধবলধোলাই হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু এবার তাদের সেই তিক্ত স্বাদ দিল পাকিস্তান।
প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ আগেই নিশ্চিত করে রেখেছিল সফরকারীরা। সাইম আইয়ুবের সেঞ্চুরিতে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে ৩৬ রানের (ডিএলএস মেথডে) ব্যবধানে।

বৃষ্টিবাধায় ৪৭ ওভারের ম্যাচে ৩০৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। মিডল অর্ডারেও আসেনি কোনো বড় জুটি। তবু পাকিস্তানের ভয়ের কারণ ছিলেন হাইনরিখ ক্লাসেন। ব্যাট হাতে এই ম্যাচেও তাণ্ডব চালাতে থাকেন তিনি। কিন্তু আগের দুই ম্যাচের মতোই পরাজিত সৈনিক হয়ে ফিরতে হয় তাকে। শাহিন আফ্রিদির শিকার হওয়া ডানহাতি এই ব্যাটার ৪৩ বলে ১২ চার ও ২ ছক্কায় খেলেন ৮১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস।

ক্লাসেন ফেরার পর আর ম্যাচের মোমেন্টাম ধরে রাখতে পারেনি প্রোটিয়ারা। পাঁচ ওভার বাকি থাকতেই গুটিয়ে যায় ২৭১ রানে। ৪৪ বলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪০ রান আসে অভিষিক্ত করবিন বশের ব্যাট থেকে। পাকিস্তানের হয়ে ৫২ রান খরচে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন সুফিয়ান মুকিম। এছাড়া দুটি করে শিকার শাহিন ও নাসিম শাহর।

জোহানেসবার্গে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানেরও। প্রথম দুই ম্যাচের মতো এই ম্যাচে শূন্য রানে আউট হন আব্দুল্লাহ শফিক। তবে বাবর আজমকে নিয়ে ১১৪ রানের জুটি গড়ে তোলেন সাইম। ৭১ বলে ৭ চারে ৫২ রানে আউট হন বাবর।

পরে অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ানকে নিয়ে আরও ৯৩ রানের জুটি বাঁধেন সাইম। এই জুটি অবশ্য ভাঙে তার কারণেই। তবে বশের শিকার হওয়ার আগে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন বাঁহাতি এই ওপেনার। দেড়শ মিনিট ব্যাট করে ৯৪ বলে ১৩ চার ও ২ ছক্কায় ১০১ রান করেন তিনি।

বাবরের মতো রিজওয়ানও (৫৩) ফিফটি করে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। শেষ দিকে রানের গতি বাড়ান আগা সালমান (৪৮) ও তায়াব তাহির (২৮)। যার ফলে ৯ উইকেটে ৩০৮ রানের পুঁজি দাঁড় পাকিস্তান। প্রোটিয়াদের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন কাগিসো রাবাদা। দিনশেষে স্বাগতিক বোলারদের ব্যর্থতা আর ঢাকতে পারেননি ব্যাটাররা। ম্যাচ-সেরা তো বটেই তিন ম্যাচে দুই সেঞ্চুরিসহ ২৩৫ রান করায় সিরিজ-সেরাও হয়েছেন সাইম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *