কুলাউড়া প্রতিনিধি:
কুলাউড়া সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, সাপ্তাহিক হাকালুকি পত্রিকার সম্পাদক, বিশিষ্ট সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মো. আব্দুল হান্নান (৫৬) ইন্তেকাল করেছেন। ২৪ জানুয়ারি শুক্রবার সকাল ৮ টা ৪৫ মিনিটে সিলেট হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী ,২ ছেলে ও ২ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন-গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। শুক্রবার বিকেল ৫টায় কুলাউড়া সরকারি কলেজ মাঠে মরহুমের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল হান্নান গত মঙ্গলবার হঠাৎ অসুস্থতা অনুভব করলে পৌর শহরের একটি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। পরে শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে চিকিৎসক আব্দুল হান্নানকে বৃহস্পতিবার বাসায় নেওয়ার পরামর্শ দেন। বাসায় থাকা অবস্থায় শুক্রবার ভোররাতে তিনি ফের অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে সিলেট হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে নিলে সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে তিনি হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এদিকে আব্দুল হান্নানের মৃত্যুর খবরে উপজেলা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন।
শোক প্রকাশ: অধ্যক্ষ মো: আব্দুল হান্নান এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও তাঁর শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন সাবেক এমপি ও ঠিকানা গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এম শাহীন, কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এ কে এম সফি আহমদ সলমান ও মাওলানা ফজলুল হক খান সাহেদ, টিবিএফ সভাপতি মইনুল ইসলাম শামিম, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মো. রেদওয়ান খান, সদস্য সচিব বদরুল হোসেন খান, উপজেলা জামায়াতের আমির সহকারী অধ্যাপক মো. আব্দুল মুন্তাজিম, নায়েবে আমির মো. জাকির হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহমদ চৌধুরী, কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি বদরুজ্জামান সজল, সাধারন সম্পাদক এম. আতিকুর রহমান আখই, মৌলভীবাজার জেলা সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও কুলাউড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো: মছব্বির আলী, যুক্তরাজ্যস্থ কুইন্সপার্ক বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক, স্বদেশমেইল সম্পাদক নজরুল ইসলাম খান, কুলাউড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক নাজমুল বারী সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজ শাকিল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মহি উদ্দিন রিপন, দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মামুনসহ কুলাউড়া সরকারি কলেজের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীবৃন্দ।