গত ৯ মার্চ পাতাকুড়ির দেশ পত্রিকার অনলাইনে ‘কুলাউড়ায় বিএনপি নেতা ফখরুলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত যুবলীগ নেতা সেন্টু শীর্ষক’ সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি জাসাস শিল্পী ও বরমচাল শাহ কালা(র): এর খাদিম আজমল আলী শাহ সেন্টু। তিনি এক প্রতিবাদলিপিতে বলেন, শাহ কালা (র): এর মাজারের খাদিম থাকার স্বার্থে অনেকের সাথে কুশল বিনিময় করতে গিয়ে অনেক ছবি উঠতে হয়েছে। তাই বলে আমাকে যুবলীগ নেতা আখ্যায়িত করে বিভিন্ন প্রচারনা চালানো হচ্ছে। আসলে আমার পরিবার বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত৷ আমি বরমচাল ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ সভাপতি ও জাসাসের উপজেলা শাখার সিনিয়র সদস্যসহ বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম। ২০০১-০৬ চারদলীয় জোট সরকারের আমলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া কুলাউড়া নবীন চন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে বিএনপির সমাবেশে আস়লে সেই সমাবেশের পূ্বে জাসাস শিল্পী হিসাবে ৪/৫ টি সংগীত পরিবেশন করেছিলাম। আমি একজন সক্রিয় বিএনপি কমীকে ফ্যাসিস্টদের দলের সদস্য বলে অপপ্রচার করায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আর জায়গা সংক্রান্ত বিষয়ে যে তথ্য পত্রিকায় দেওয়া হযেছে তা একবারে মিথ্যা প্রচারনা চালানো হয়েছে। আসলে প্রায় ৫০ বৎসর পূর্বে জমি ক্রয় করেছিলেন ফাতেমা বেগম । যে জমির এস এ খতিয়ান নং ৮৩১ ৩১০ ৩৫৪ ও ৪৫৫ এর মুল মালিক সস্ববান ছিলেন মণীন্দ্রচন্দ্র শিকদার ও সরস্বতী দেবী।
ফাতেমা বেগম যেভাবে এর মালিক ছিলেন এবং আজমল আলী শাহ কে দলিল করে দিয়েছেন তার ধারাবাহিক দলিল সমূহের বিবরণ নিচে দেওয়া হল১৬/ ০৪ /১৯৭৫ ইংরেজি ৬৭২৬ নং দলিল।২৪/৮/১৯৭৮ইং৩০৪১১ নংদলিল। ৩০/৯/১৯৭৮ ইং১১০২৪ নং দলিল।৩/৩/১৯৯০ ইং২৯০৬ নং দলিল। সরস্বতী দেবীর দেওয়া মুক্তিপত্র ৪/২/১৯৮১ইং তারিখের ১১ ৪১ নং মুক্তিপত্র।মোঃআজমল আলী শাহ কে ফাতেমা বেগম এর দেওয়া দলিল ২৯/১২/২০২৪ইং ৫৬৫৫ নং দলিল। আজমল আলী শাহ র পক্ষে রায় ডিগ্রি ২০৫/২১ রায়ডিগী নং ৩৪৬/২০২৪ ইং মোহাম্মদ আজমল আলী শাহ নামীয় আর এস চুড়ান্ত খতিয়ান ২৭৭ নং। মোহাম্মদ আজমল আলী শাহ র নামীয় নামজারি খতিয়ান ৬৪৪ নং খতিয়ান। সরকারি ভূমি খাজনার রশিদ সমূহ। ফাতেমা বেগম আমার শ্রদ্ধেয় বড় আম্মা উনি নিঃসন্তান ছিলেন আমি ছোটবেলা থেকে উনার সাথে উনার আঙ্গুল ধরে ওই জমিগুলো দেখাশোনা করে আসছি, উনি নিয়মিত জমির সরকারি খাজনা পরিশোধ করেন এবং উক্ত ভূমিতে চাষাবাদ করে ব্যবহার করে সংরক্ষণ করে আসছিলেন। এখনো সিঙ্গুর এবং খাদিমপাড়ার অনেক মানুষ জীবিত আছেন যারা আমার শ্রদ্ধেয় বড় আম্মা ফাতেমা বেগম জীবিত থাকা অবস্থায় ও ইন্তেকালের পরেও এই জমি চাষাবাদ করে আমাদের কে দিয়েছিলেন। আমি ছোটবেলা থেকেই দেখেছি অনেকেই চাষাবাদ করতেন সিঙ্গুর কুমিল্লা পাড়ার রশিদ মিয়া উনাদের ছেলেরা এখনো আছে পূর্ব সিঙ্গুরের পসাইমিয়া উনি চাষাবাদ করতেন আমাদের খাদিম পাড়ার গেন্দুমিয়া,ছলিমউল্লাহ ভাগি খেত হিসাবে ওনারা করতেন আমাদেরকে অর্ধেক ফসল দিতেন অর্ধেক উনারা নিতেন আমরা চাষাবাদ করে আমাদের জমি সংরক্ষণ করে ব্যবহার করে সরকারী খাজনা পরিশোধ করে আসছিলাম।এই ভূমিতে বাসবেতার দুটি ঘর ও ছিলো পশ্চিম সিগুর গিরিজিং এর মৃত রহমান মিয়া উনার ছেলে মেয়েরা এখন ও জীবিত আছেন, বরমচালের সুন্দর মিয়া এখন ও জীবিত আছেন, সেই ঘর গুলিতে থাকতেন আমাদের এই বাড়ীতে। তুপানে ঘর ভাংগার পর সারা বাড়ীতে বৃক্ষ রোপন করেছিলাম।কাজের লোক দিয়ে আমরা নিজেরা কাজ করাইতাম এখানে বিভিন্ন জাতীয় কলা চাষ করা হতো সবজি পুকুরে মৎস্য চাষ,শান্তীপূর্ন ভাবে ভোগ ব্যবহার করে সংরক্ষণ করে আসছিলাম।এলাকার মানুষ এখনো আছেন জিজ্ঞাস করলে সত্য কথা বলবেন তাদের পক্ষের কতিপয় কয়েক জন ভাড়াটিয়া লোক ছাড়া। ২৯-১২-২০২৪ ইংরেজি ৫৬৫৫নং দলিলে ১ একর ৭৬ শত ভূমিসহ বহুতর ভূমি আমাকে দান করেছেন আমি শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ ব্যবহার ও রক্ষনাবেক্ষন করে আসছি। আমার ভূমিতে আমি বৃক্ষরোপন করে সংরক্ষণ করে জমিটি রেখেছিলাম এবং নিয়মিত সরকারি ভূমির খাজনা পরিশোধ করে আসছি। যখন ওরা আমার ডিপি খতিয়ান ২৭৭ নম্বর ব্যবহার করে একটি দলিল ২০১৭ইংরেজি সালে ৩৪৩৯ দলিল জালীয়াতী, প্রতারণার মাধ্যমে সৃজন করে এবং ১০০০ ও১০০৪ নামজারী ও খতিয়ান সৃষ্টি করে। আমি জানার পর ৮৭/১৮ স্বত্ব মামলা প্রথমে মোলভীবাজার আদালতে দায়ের করি এবং পরবর্তীতে স্বত্ব মামলা ২০৫/২১ এ রূপান্তরিত হয়ে মামলাটি ১২/২/২০২৪ইং তারিখে রায়, ২০/২/২০২৪ইং ডিগ্রী ৩৪৬ রায় ডিগ্রি আমার পক্ষে মাননীয় আদালত প্রদান করেন। ফখরুল ইসলাম এর বক্তব্য সত্য নয় ১৯৯৯ সালের দলিলের কথা উল্লেখ করেছে সেটি আমার ভূমির বহির্ভূত তাদের পাকা করা বাউন্ডারির ভিতরের আমার নালিশা বহিভূত সংলগ্ন তাদের বাড়ি।রায় ডিগ্রি আমার পক্ষে হওয়ার পরে ওরা ষড়যন্ত্র করে নিচের কোর্টে নালিশা বহির্ভূত জমির দলিল দাগ নাম্বার দিয়ে তাদের বাড়ির ভিতরের দাগ নাম্বার দিয়ে এবং যে দলিল বাতিল হয়েছে সেই বাতিল দলিলের দাগ নাম্বার দিয়ে এমনকি আমার নালিশা ভূমির থেকে প্রায় ৪০০ ফুট দূরে তাদের পাম্পের দলিল দাগ নাম্বার দিয়ে ৫১/২৪ ইং ১৪৪ ধারা জারি করে। এই ১৪৪ দ্বারায় যে মামলা করেছিল সেটির রায় হয়ে গেছে এবং রায়েতে মাননীয় আদালত যা লিখেছেন তা সত্য আমি তো তার গ্যাস পাম্প দখল কিংবা আমার নালিশা বর্হিভূত সংলগ্ন তাদের পাকাবাওন্ডারী ভিতরে দখলের পায়তারায় লিপ্ত নয়।আমার ১ একর ৭৬ শতাংশ ভূমি দীর্ঘ ৫০ বছরের বৈধ্য মালিকানা আমার বড় আম্মা ফাতেমা বেগম ও আমি ভোগ ব্যবহার করে আসা অবস্হায় তারা যে অসৎ উদেশ্য প্রতারনার আস্রয়ে নামজারী খতিয়ান ১০০০ ও ১০০৪ এবং দলিল ৩৪৩৯/১৭ নং দলিল সৃষ্টি করেছিলো তাতো মাননীয় আদালত বাতিল করেন। রায় ডিগ্রি আমার পক্ষে হয়। তারা জেলা জজে আপিল করেছে, আপিলে আমি জেলা জজে ইনজাংশন চেয়েছি, মাননীয় আদালত ইনজাংশন মঞ্জুর করেছেন। তারা উচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে সাইন বোর্ড তুলেছে আমার জমিতে । আমি জেলা জজে তাদের বিরুদ্ধে ভায়োলেশন মামলা করেছি। কোর্টে মামলা বর্তমানে চলমান আছে।
বিনীত
আজমল আলী শাহ সেন্টু
সাবেক ছাত্রদল ও জাসাস নেতা
বরমচাল ইউপি
কুলাউড়া,মৌলভীবাজার ।