সিলেটের গৃহবধু নাজমিন আক্তার হত্যা মামলার প্রধান আসামি নাঈম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার ভোররাতে সিলেট নগরীর পাঠানটুলা এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এদিকে- গ্রেপ্তারের পর গতকাল বিকেলে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। জালালাবাদ থানার ওসি নাজমুল হুদা জানিয়েছেন- ভোররাতে পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করতে পাঠানটুলা এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় ওই এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানান তিনি। গত ৩০ শে মে সিলেট শহরতলী মইয়ার চর এলাকার স্বামীর বাড়ি থেকে নাজমিনের লাশ উদ্ধার করেছিলো পুলিশ। এ ঘটনায় নাজমিনের পিতা আব্দুস সাত্তার বাদি হয়ে নাজমিনের স্বামী নাঈম উদ্দিন, ভাসুর ফরহাদ উদ্দিন, দেবর নাসিম উদ্দিন, নাহিদ উদ্দিন, শশুর সাইফউদ্দিন, শাশুরী রেহেনা বেগম, খালা শাশুরী রুমি বেগমের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদিকে- মামলা দায়েরের পর পলাতক ছিলো আসামিরা। শনিবার ভোররাতে প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য আসামিরা এখনো পলাতক রয়েছে। নাজমিনের লাশ উদ্ধারের পর পরিবার সহ এলাকার মানুষ নাজমিনকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে তারা জালালাবাদ থানা এলাকায় এবং সিলেটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। নিহত নাজমিনের পিতা আব্দুস সাত্তার অভিযোগ করেছেন- ‘লাশ উদ্ধারের পরপরই পুলিশ ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে পারিপার্শ্বিক অবস্থার প্রেক্ষিতে হত্যা মামলা গ্রহন করলেও আসামি গ্রেপ্তারে গড়িমসি করছিলো।’ তিনি দাবি জানিয়ে বলেন- ‘গ্রেপ্তারকৃত নাঈমকে রিমাণ্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।’