আব্দুর রব: বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এনামুল হককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। রোববার একটি হত্যা চেষ্টা ও শ্লীলতাহানী মামলায় জামিন নিতে গেলে বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ক্ষমতাপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট এম. মিছবাহ উর রহমান তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, উপজেলার কাশেম নগর গ্রামের গৃহীনি আফিয়া বেগমের ভাই মুরাদ মিয়ার সাথে ইউপি সদস্য এনামুলরে পূর্ব-বিরোধ চলছিল। এর জেরধরে গত ২৭ জুলাই রাতে মুরাদ মিয়া ও তার ভাগ্না শাহান আহমদ জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী হতে মোটরসাইকেল যোগে কাঠমিস্ত্রির কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিল। তারা কাশেমনগর গ্রামের রুস্তম আলীর বাড়ির পাশের রাস্তায় আসামাত্র কয়েকজন লোক নিয়ে ইউপি সদস্য এনামুল হক তাদেরকে সিগনাল দেন। তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র দেখে মুরাদ মিয়া সিগনাল অমান্য করে বোন আফিয়া বেগমের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরে ইউপি সদস্য এনামুল হক, তার সহযোগি লোকমান হোসেন, মফিজ, মাসুক মিয়া প্রমুখ দা, লাঠি নিয়ে আফিয়া বেগমের বাড়িতে ঢুকে হত্যার উদ্দেশ্যে মুরাদ ও শাহান আহমদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। আফিয়া বেগম ছেলে ও ভাইকে বাঁচাতে গেলে তারা তাকেও মারধর ও শ্লীলতাহানী ঘটায়। তারা সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতিসাধন ও লুটপাট করে। এঘটনায় পরদিন আফিয়া বেগম ইউপি সদস্য এনামুল হককে প্রধান আসামী করে ১২ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।
বড়লেখা আদালত পুলিশের জি.আরও পিযুষ দাস ২৪ অক্টোবর সোমবার দুপুরে জানান, একটি হত্যা চেষ্টা ও হামলা-ভাংচুর মামলায় ইউপি মেম্বার এনামুল হক রোববার আদালতে জামিন নিতে যান। আদালত জামিন না-মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।