সিলেট প্রতিনিধি : আগামী ১০ মার্চের মধ্যে করোনাটিকা গ্রহণের নির্দেশনা রয়েছে দেশের সব শিক্ষকদের। কিন্তু সিলেটের জকিগঞ্জের ভটপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আব্দুল কাদির শত চেষ্টা করেও ভোটার আইডি নম্বর না থাকায় টিকা নিতে পারছেন না। ইএফটিতে (বৈদ্যুতিক তহবিল স্থানান্তর) বেতন হচ্ছে না, ফিক্সেশনও সম্ভব হচ্ছে না এই শিক্ষকের।
কারণ তিনি জীবীত থাকলেও মৃত বলে উল্লেখ করে ভোটারতালিকা থেকে তাকে বাদ দিয়েছে নির্বাচন অফিস।
এ বিষয়ে শিক্ষক আব্দুল কাদির বলেন, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের দিন ভোটার তালিকায় জকিগঞ্জে নাম না পেয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করলে তৎকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তার স্ট্যাটাস শুন্য অর্থ্যাৎ মৃত বলে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে জানান।
এই সমস্যা সমাধান করতে তিনি ২০১৯ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি আবেদন করেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত তা সমাধান হয়নি। তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালের ১৫ জুন একই এলাকার পশ্চিম কসকনকপুরের ৯১২৮২০৬২৩৩৭৮ নং ভোটার মারা গেলেও এখনও তার নাম তালিকাভুক্ত আছে। কিন্তু আমি জীবিত থেকেও আমাকে মৃত বলে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।’আক্ষেপ করে শিক্ষক আব্দুল কাদির বলেন, ‘২০০৮ সাল থেকে আমি মৃতই রয়ে গেলাম। জীবিত থেকেও জীবিত হতে পারলাম না।’
এ বিষয়ে সিলেট নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সাল কাদের বলেন, তথ্য সংগ্রহকারী ভুলক্রমে তার আইডি নম্বর উল্লেখ করে রিপোর্ট প্রদান করায় এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে বিষয়টি দ্রুত সংশোধনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।