আগামী সপ্তাহে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরতে পারেন করো’না আ’ক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল জানিয়ে এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন ‘আমি আজ ম্যাডামকে দেখতে হাসপাতা’লে গিয়েছিলাম। তার অবস্থা স্থিতিশীল আছে।’
তিনি বলেন, ‘ম্যাডামের সবগুলো পরীক্ষা শেষে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা পর্যালোচনা করবেন। এরপর তাকে বাসায় আনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন। আম’রা আশা করি, আগামী সপ্তাহ নাগাদ বাসায় ফিরতে পারবেন তিনি।’
জানা গেছে, খালেদা জিয়ার আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস ও হাঁটুর প্রতিস্থাপনের চিকিৎসা চলছে। তার অনেকগুলো পরীক্ষা করতে হচ্ছে। যার মধ্যে কিছু পরীক্ষা করতে এবং রিপোর্ট পেতে একদিনের বেশি সময় লাগছে। তাই তার সবগুলো পরীক্ষা শেষে হতে আগামী শনিবার (১ মে) পর্যন্ত সময় লাগবে। এরপর মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা বৈঠক বসবেন সবগুলো পরীক্ষা রিপোর্ট পর্যালোচনা করতে। এরপর আগামী রবি-সোমবার (২ অথবা ৩ মে) তাকে বাসায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
এর আগে বুধবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর এভা’রকেয়ার হাসপাতা’লে ভর্তি করা হয় তাকে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল মির্জা ফখরুল ইস’লাম আলমগীর ভর্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা খুবই ভালো। উনার আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা দরকার সেজন্য আজকে রাতে হাসপাতা’লে থাকবেন তিনি। করো’নার কোনো জটিলতা তৈরি হয়েছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, না, কোনো জটিলতা নেই।’
হাসপাতাল সূত্র জানায়, রাত ১২টা পর্যন্ত সিটি স্ক্যান, আলট্রাসনোগ্রাম, ইকো-ইসিজিসহ কয়েকটি পরীক্ষা করা হয় খালেদা জিয়ার। নানা পরীক্ষার সুবিধার্থে রাতে তাকে হাসপাতা’লে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে সেখানেই রয়েছেন তিনি।
গত ১৪ এপ্রিল রাতে এভা’রকেয়ার হাসপাতা’লে খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যান করা হয়। তারপর তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা বলেন, সিটি স্ক্যানে খালেদা জিয়ার ফুসফুসে খুবই সামান্য সংক্রমণ হয়েছে। যা সত্যিকার অর্থে মাইল্ড পর্যায়েও পড়ে না। তাই খালেদা জিয়ার আগের ওষুধের সঙ্গে নতুন ওষুধ অ্যান্টিবায়োটিক যু’ক্ত করা হয়।
এর আগে গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার শরীরে করো’নাভাই’রাস শনাক্ত হয়।