জুড়ীর হামিদ হত্যা মামলা :  ১০ লাখ টাকায় সমঝোতার প্রস্তাব 

হারিস মোহাম্মদঃ  মৌলভীবাজারের জুড়ীতে আপন ভাইয়ের হাতে ভাই খুন হওয়ার এক সপ্তাহ অতিক্রান্ত হলেও আসামিরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত দুইজন বিদেশ পালিয়ে যাওয়ার খবর চাউর হওয়ায় মানুষের মনে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।‌ চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা বড়লেখা উপজেলার সিদ্দীক আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিল ও ওয়াসিম পলাতক রয়েছে। ‌ ঘটনার এক সপ্তাহ অতিক্রম হলেও কোনো আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জনমনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি জুড়ী প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে নিহতের পুত্র আপ্তাব মিয়া
অনতিবিলম্বে পিতার হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ‌
গত ২৭ জুন উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের দক্ষিণ সাগরনাল গ্রামে বিরোধপূর্ণ জমিতে আব্দুল জলিল মাষ্টার ও ফারুক মিয়া দুই ভাই হাল চাষ করতে গেলে অপর ভাই আব্দুল হামিদ কালা (৬০)‌ বাঁধা দেয়। বাঁধা দেওয়ার এক পর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি, মারামারি ও ধস্তাধস্তি হয় হয়।‌ এতে মাটিতে পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান কালা। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে আপ্তাব মিয়া বাদী হয়ে জুড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা মামলা দায়ের করেন।
এদিকে, হত্যাকারীদের পক্ষ থেকে মামলা তুলে নেয়ার হুমকির পাশাপাশি আপোষ মীমাংসার জন্য ১০ লাখ টাকা ও জমি দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নিহতের পুত্র আপ্তাব মিয়া। তিনি বলেন, আমি মামলা তুলে নেওয়ার নানা হুমকি পাচ্ছি। এতে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। ‌
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষ  সূত্রে জানা যায়, উপজেলার  দক্ষিণ সাগরনাল গ্রামের মৃত হাজী আব্দুল লতিফের তিন ছেলের মধ্যে ফসলি জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকদিন বৈঠক হলেও কোন সুরাহা হয় নি। ঘটনার দিন সকালে মৃত হাজী আব্দুল লতিফের ছেলে বড়লেখা উপজেলার ছিদ্দিক আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিল ও ফারুক মিয়া বিরোধপূর্ণ জমিতে হাল চাষ করতে গেলে অপর ছেলে আব্দুল হামিদ কালা (৬০)‌ বাঁধা দেয়। বাঁধা দেওয়ার এক পর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও মারামারি হয়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান আব্দুল হামিদ কালা। ‌
জুড়ী থানার ওসি মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন জানান, দুই আসামি বিদেশ পালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে তাদের কাছে কোন তথ্য নেই ।‌ তবে আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।‌

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *