দুর্ণীতি আড়াল করতে বিএনপি নেতাদের কাছে ধর্না দিচ্ছেন বন প্রহরী আহমদ আলী

ডেক্স রিপোর্ট: মোঃ আহমদ আলী, বন বিভাগের বন প্রহরী। মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার কামার ছড়া বিটের বিটকর্মকর্তা না থাকায় ভারপ্রাপ্ত বনবিট কর্মকর্তার দায়িত্বে রয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকলেও তিনি মাসের প্রায় সিংহভাগ সময় কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন। এমনকি এই বিটের গর্জন সহ বিভিন্ন গাছ বিক্রিরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগ আড়াল করতে একসময় আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয় থাকলেও এখন নিজেকে বিএনপির সমর্থক বলে নিজের অনিয়মকে আড়াল করতে চাইছেন।

কামারছড়ায় যোগদানের পূর্বে কুলাউড়া উপজার গাড়িপুর বিটে কর্মরত অবস্থায় বন বিভাগের গাছ ও বাশ অবাধে বিক্রির অভিযোগও রয়েছেন তার বিরুদ্ধে। মুলত এসব অভিযোগের ভিত্তিতেই তাকে গাজিপুর থেকে বদলি করে কামারছড়ায় প্রেরণ করা হয়।

এর পূর্বে কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল বিটে থাকাবস্থায় রিজার্ভ ফরেস্টে অবস্তিত ইছলাছড়া খাসিয়াপুঞ্জিতে সরকারি বনভূমির মধ্য দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যাতিত নিয়মবহির্ভূত ভাবে ৪০টি পরিবারকে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করে দেন।

একই বিটে আমছড়িপুঞ্জির ভেতরে রিজার্ভ ফরেস্টের প্রায় ৫০ একরন জমি পান চাষ চাষিদের দিয়ে দেন। এই বিটের প্রচুর পরিমান সেগুন গাছ তার ছত্রছায়ায় চোরাকারবারীরা কেটে নিয়ে যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুলাউড়ায় কর্মরত অবস্থায় নিজেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রটোকল কর্মকর্তা আবু জাফর রাজুর ঘনিষ্টজন বলে পরিচয় দিতেন। এমনকি সাবেক বন ও পরিবেশমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন ও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের নিকত্মাতীয় বলে পরিচয় দিতে। মন্ত্রী, এমপি ও আওয়ামীলীগ নেতাদের ছাত্রছায়ায় থেকে দিনের পর দিন দূর্ণীতি চালিয়ে গেছেন।

সরকার দলের প্রভাবের কারনে তার সিনিয়র কর্মকর্তারাও ছিলেন অসহায়। তিনি ‘আমাদের বঙ্গবন্ধু, আমাদের বাংলাদেশ’ নাম একটি বই লিখেছেন। এই বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানের তৎক্ষালীন সরকার ও সরকার দলের শীর্ষ কর্তাদের এনে শোডাউনও করেছিলেন।

কিন্তু বিগত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতা হারিয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে পাড়ি দেয়ার পর নিজের খোলস পাল্টানো শুরু করেছেন। এখন নিজের দূর্ণীতিকে আড়াল করতে বিএনপির নেতাদের দারে দারে ঘুরছেন।

বিষয়টি নিয়ে জানতে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার কামার ছড়া বিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিটকর্মকর্তা ও বন প্রহরী মোঃ আহমদ আলীর মোবাইল ফোনে কল দেয়া হলে সেটি বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবির, আমি বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নেব। অভিযোগ প্রামাণিত হলে শাস্তির আওতায় আসবে। সূত্র–আজকের সিলেট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *