বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের সমর্থন করে এসেছেন সাফা কবির। রাস্তায় নিরীহ ছাত্রদের সঙ্গে যখন নৃশংস আচরণ করা হচ্ছিল, তখন আর ঘরে বসে থাকতে পারেননি ছোট পর্দার জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী। শিল্পীদের মধ্যে যখন কেউ রাস্তায় নামেননি তখন তিনি নেমেছিলেন ছাত্রদের সঙ্গে। কণ্ঠে তুলেন প্রতিবাদের সুর। নতুন দেশকে কীভাবে দেখতে চান, এমন প্রশ্নে এই তারকা গণমাধ্যমকে বলেন, আমি এমন একটি দেশ দেখতে চাই, যেটি সবার জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। বিশেষ করে সড়কে, যেখানে কিছুদিন পরপরই ঘটা দুর্ঘটনা অনেকের প্রাণ কেড়ে নেয়। দ্বিতীয়ত, আমাদের দুর্বল কাঠামোগত সিস্টেমের জরুরি আপগ্রেড প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, একটি প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি। আমরা যদি বিশ্বজুড়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই, আমাদের অবশ্যই সক্ষমতা থাকতে হবে। তরুণ প্রজন্ম যারা আমাদের জন্য নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে, দেশকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরার জন্য তাদের প্রয়োজনীয় সুযোগ করে দিতে হবে। ছোট পর্দায় পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করে এই অভিনেত্রী বলেন, বিশেষ করে ছোট পর্দার ক্ষেত্রে অনেক পরিবর্তন প্রয়োজন। উদাহরণস্বরূপ যেকোনো একটি প্রজেক্ট শুরু করার আগে আমাদের কোনো অফিসিয়াল প্রক্রিয়া নেই, যা অন্যান্য সেক্টরের জন্য বাধ্যতামূলক। এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা এখন গুরুত্বপূর্ণ।
শিক্ষার্থীরা যখন রাস্তায় ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছিল তখন সাফা তাদের খাবার ও
পানি দিয়ে সহযোগিতা করেছিল। এই বিষয়ে অভিনেত্রীর ভাষ্য, যারা জাতির পক্ষে এবং তাদের অধিকারের জন্য লড়াই করেছে তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমি আমার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। তারা যখন প্রচণ্ড গরম বা বৃষ্টিতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছিল তখন তাদের এই বিষয়টাকে আমি রিলেট করতে পারি। আমরা যখন শুটিং করি তখন এরকম পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাই। তারপরও তাদের মুখ থেকে হাসিটা বিলীন হয়নি। তাদের হাসি আমাকে অনুভব করিয়েছে যে এটা একটা অনেক বড় অর্জন। অন্যান্য অনেক সেক্টরের মতো শোবিজ অঙ্গনও একটা অস্থির সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন সাফা। তার মতে, অনেক মানুষ তাদের জীবিকার জন্য এই শিল্পের ওপর নির্ভরশীল। যদিও ধীরে ধীরে কাজ শুরু হচ্ছে। তবুও এই মুহূর্তে প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো কেউ বিনিয়োগ করতে আগ্রহী নয়।