মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
“আমার মৃত্যুর জন্য মা-বাবা দায়ী নয়। মৃত্যুর পর যেন কোন পুরুষ ডাক্তার ময়নাতদন্ত না করে।”এমন চিরকুট লিখে আমেনা বেগম (২৩) নামে এক কলেজ ছাত্রী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এমন ঘটনাটি কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের। ১৫ সেপ্টেম্বর রোববার দুপুর ১টার দিকে পুলিশ কলেজ ছাত্রীর বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। আমেনা বেগম উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের দক্ষিণ রাউৎগাঁও মাধবপুর গ্রামের বাসিন্দা শহীদুল ইসলাম জুনেদ ও নিলুফা বেগম দম্পতির মেয়ে। সে কুলাউড়া সরকারি কলেজের অনার্স ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী। তবে কি কারণে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে তাৎক্ষনিক ভাবে পুলিশ তা
জানাতে পারেনি। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকাল সাড়ে দশটার দিকে আমেনার পরিবারের সদস্যরা ঘরের একটি কক্ষে বিছানার ওপর গলায় উড়না পেঁচিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাকে দেখতে পান। পরে তারা ফাঁস লাগানো দড়িটি কেটে তাকে নিচে নামান। মৃতদেহের হাত ও পায়ের ধারালো অস্ত্র ব্লেড) এর কাটা ও বিছনায় রক্তের দাগ ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। এদিকে আমেনার ঘর থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে পুলিশ। চিরকুট ঘটনাস্থল থেকে সংরক্ষিত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন থানার এসআই আব্দুর রহিম জীবান। তিনি জানান, কি কারণে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে নাকি প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যা করেছে সে ব্যাপারেও পরিবারের সদস্যরা কিছু জানাননি। সুরতহাল করার সময় দেখা যায় মৃতদেহের শরীরের হাত ও পায়ে ধারালো (ব্লেড) এর কাটা দাগ রয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষণ রায় বলেন, পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। হত্যা নাকি আত্মহত্যা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া বলা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
