কুলাউড়ায় ক্রেতাদের সাড়া ফেলেছে মাঝে বিনা লাভের বাজার

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: কুলাউড়ায় বিনা লাভের বাজার ক্রেতা সাধারণের মাঝে বেশ সাড়া ফেলেছে। গত শনিবার থেকে শুরু হওয়া এ কার্যক্রমের উদ্যোগ নিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা। নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।  ৪ নভেম্বর সোমবার বিকেল ৩টায় পৌর শহরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে দেখা যায় ক্রেতারা নিত্যপণ্য কিনতে সেখানে ভিড় করেছেন। সাধারণ বাজার থেকে প্রতিটি পণ্যের দাম প্রায় ১৫-২০ টাকা পর্যন্ত কম বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। সোমবার তাদের কার্যক্রম দেখতে আসেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহ জহুরুল হোসেন, কুলাউড়া টিবিএফে’র চেয়ারম্যান মইনুল ইসলাম শামীম, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মুহিত বাবলু, কুলাউড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো: মছব্বির আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল বারী সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজ শাকিল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মহি উদ্দিন রিপন, সংবাদকর্মী শেখ ইব্রাহিম আলী, সমাজকর্মী মেহেদী হাসান খালিক প্রমুখ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা জানান, ভোক্তারা যেন ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত না হন, তাই ভোক্তাদের স্বার্থে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে পাইকারি বাজার থেকে ভোক্তা পর্যন্ত পণ্যের মূল্যের ব্যবধান কমেছে। আমরা মোট ১৫টি পণ্য বিক্রি করছি। আলু, বেগুন, শসা, লাউ, কাচামরিচ, ডিম, শাক-সবজিসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য সুলভ মূল্যে বিক্রয় করা হচ্ছে। এখানে বরবটি ৬০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, লাউ ৪০-৫০ টাকা, মরিচ কেজি ১০০-১২০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, কেরেলা ৪০ টাকা, ঢেড়স ৪০ টাকা, ডিম ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে গড়ে ভোক্তার প্রতি কেজিতে ২০ টাকা সাশ্রয় হচ্ছে।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে পরিচালিত বিনা লাভের বাজারে সক্রিয় ভূমিকায় রয়েছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদুর রহমান, লিংকন তালুকদার, জাহিদুল ইসলাম, আদনান চৌধুরী, জাকির আহমদ, সাকেল আহমদ, সয়ফুল ইসলাম, মুন্সি মুজাদ্দিদ, সাদিম আশরাফ, খাইরুল ইসলাম রুমেল, ইব্রাহিম আলী, হোসনে আরা মীম আয়েশা।

সবজি নিতে আসা রিকশাচালক দুলাল মিয়া বলেন, বর্তমানে বাজার পরিস্থিতিতে নিত্যপণ্যের দাম কয়েকগুণ বেশি চড়া। স্থানীয় বাজারেই সবজির দাম কেজি প্রতি ১৫-২০ টাকা বেড়েছে। তবে এখানে কম দামে সবজি পেয়ে আমি অনেক সবজি কিনেছি। আরো কয়েকজন ক্রেতা জানান, নিম্নবিত্তের জন্য এটি বেশ বড় একটি উদ্যোগ। অন্য বাজারের তুলনায় ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে প্রতিটি পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে। এটা খুবই ভালো উদ্যোগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *