বিশেষ প্রতিনিধিঃ কুলাউড়া উপজেলার ১০ নং হাজীপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে একটানা দুই দুইবার জনগণের বিপুল ভোটে নির্বাচিত হওয়া সাবেক মেম্বার ও দলিল লেখক মোঃ এখলাছুর রহমান আবারো জনগণের সেবায় নিয়োজিত থাকতে চান। পাড়া, মহল্লায়, হাট-বাজার ও বিভিন্ন জায়গায় তাঁর সুনামের কথা শোনা যায়।
হাজীপুর ইউনিয়ন গঠিত হওয়ার পর ১৯৯৭-২০১১ সাল পর্যন্ত দুই বারের নির্বাচিত মেম্বার এখলাছুর রহমান আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আবারো হাজীপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন। তাঁর এই দীর্ঘ ১৩ বছরে ৮নং ওয়ার্ডে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন।
এখলাছুর রহমান বলেন, আমার নির্বাচনী সময় ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে বেশ কিছু বড় বড় কাজ করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু আমি বিগত ৫ বছরে এই ওয়ার্ডে দায়িত্বে ছিলাম না, তাই ওয়ার্ডবাসীর জন্য আমার অনেক কাজ বাকি রয়ে গেছে। বিশেষ করে ওয়ার্ডবাসীর যে ধরনের সেবা পাওয়ার কথা, সে সবের কিছুই নেই এই ওয়ার্ডে। এই ওয়ার্ড অনুন্নত ও অবহেলিত।
মেম্বার প্রার্থী মোঃ এখলাছুর রহমান বলেন, মানুষ যদি আমাকে সমর্থন না করতো তাহলে মানুষের সেবা করার সুযোগ পেতাম না। আমার কাজ হবে তার স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করা। তার চাওয়া অনুযায়ী আমার ওয়ার্ড হবে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজমুক্ত ওয়ার্ড। আমি আরও কৃতজ্ঞতা জানাই আমার ওয়ার্ডের সব জনগণের প্রতি, যারা আমাকে অতীতের কাজের মূল্যায়ন করে আমার অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করার সুযোগ করে দেবেন।’ ওয়ার্ডবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমার সততা, স্বচ্ছতা ও আন্তরিকতা দিয়ে আবারো জনগণের সেবা করতে চাই।
তিনি আরো বলেন, আগের তুলনায় বর্তমান মেয়াদে তার কয়েকগুণ বেশি সরকারি বরাদ্দ ছিল। কিন্তুু ওয়ার্ডে দৃশ্যমান কোন উন্নয়ন কাজ হয়নি। ১৯৯৭-২০১১ পর্যন্ত আমার মেয়াদকালে ৮নং ওয়ার্ডে বেশকিছু উন্নয়ন কাজ করেছি। নিজের ব্যক্তিগত টাকা দীর্ঘ দিন জামানত রেখে ওয়ার্ডের মীরেরগাঁও পলকি নদীর ব্রিজ সেনশন করে ব্রিজ নির্মাণ, ভাঙ্গারপারের মসজিদের পাশের কালভার্ট নির্মাণ, দক্ষিণ হাজীপুর কবির মাস্টারের বাড়ির পূর্ব পাশের কালভার্ট নির্মাণ, মায়া রানী মল্লিকের বাড়ির সামনের কালভার্ট নির্মাণ, রানা মাস্টারের বাড়ির দক্ষিণের কালভার্ট নির্মাণ, দক্ষিণ চান্দগাঁও বিলের রাস্তার দুটি কালভার্ট নির্মাণ, কাথাইরপার কবরস্থানের পশ্চিম পাশের কালভার্ট নির্মাণ, চান্দগাঁও বিডিআর বাড়ির পূর্বপাশের কালভার্ট নির্মাণ, পীরেরবাজার মুনিম মেম্বারের মার্কেট থেকে হাজীপুর সোনাদীঘি পর্যন্ত কাঁচা রাস্তায় মাটি ভরাট ও পরবর্তীতে আবেদ চৌধুরীর সুপারিশে পাকাকরণ, ভাঙ্গারপারের উভয় রাস্তায় মাটি ভরাট, কাথাইরপার কবরস্থান থেকে মীরেরগাঁও ভায়া চান্দগাঁও দীঘিরপারের রাস্তায় মাটি ভরাট, কাথাইরপার কবরস্থান থেকে মীরেরগাঁও রাস্তা ত্রিমোহনা থেকে চান্দগাঁও দিঘী পর্যন্ত রাস্তায় মাটি ভরাট, আব্দুল কুদ্দুছ চৌধুরীর বাড়ির দক্ষিণ রাস্তায় মাটি ভরাট, হাজীপুর স্কুলের পাশের রাস্তার স’মিল পর্যন্ত মাটি ভরাট, বাগানবাড়ি রাস্তায় মাটি ভরাট, কাথাইরপার মসজিদ থেকে প্রভাত মাস্টারের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তায় মাটি ভরাট, কাথাইরপারের উভয় রাস্তায় মাটি ভরাট, কাথাইরপার কবরস্থান থেকে পীরেরবাজারমুখী রাস্তায় ৬০০ ফুট ইট সলিং, কর্মসৃজন প্রকল্পের আওতায় পলকি নদী পুনঃখনন ( কেওলা বিল থেকে পাইকপাড়া- মনু রাস্তার পলকি ব্রীজ পর্যন্ত), বাঁশের ছোট ব্রিজ থাকবেনা ৮ নং ওয়ার্ডে এই নীতিতে নিজের পকেটের টাকা দিয়ে ১ ফুট ব্যাসের ২৯টি পাইপ কালভার্ট স্থাপন (সাইড ওয়াল ছাড়া)। রিলিফ বিতরনে রিলিফে না পোষালে মনু এবং হাজীপুর মুদির দোকান থেকে পকেটের টাকা দিয়ে চাউল ক্রয় করে রিলিফ বিতরন। বয়স্ক ভাতায় কেউ ৬৫ বছরের নীচে অবৈধভাবে নাম লিখাতে পারেননি, ২৫টি দরিদ্র পরিবারে স্যানিটেশন ব্যবস্থা করেন। এছাড়া ইউপি সদস্য হওয়ার পূর্বে হালচাষের ষাড় বিক্রি করে রাস্তায় মাটি ভরাট করেন। এবার যদি জনগণের সমর্থন পেয়ে পুনরায় আবার নির্বাচিত হতে পারি তাহলে আমি যে সকল উন্নয়নমূলক কাজগুলো করবো সেগুলো হল ৮নং ওয়ার্ডের প্রতিটি কাঁচা রাস্তা ইটসলিংসহ কাদামুক্ত করবো। প্রয়োজনে নিজের পকেটের টাকা ব্যয় করে হলেও। কাবিটা প্রকল্পে ৪০ জন শ্রমিক দিয়েই কাজ করাবো। কোন ভূয়া শ্রমিক থাকবেনা। হতদরিদ্র লোকজন তার ন্যায্য পাওনা ( রিলিফ) পাবে। যেটা ১৯৯৭-২০১১ সালে জনগণ পেয়েছেন। বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, পঙ্গুভাতা প্রকৃত উপকারভোগীরা পাবেন থাকবে না কোন স্বজনপ্রীতি। আমার ওয়ার্ডে যত উন্নয়ন করেছি তা কেউ করতে পারেনি। আমি এ ওয়ার্ডকে উন্নয়নের মডেল ইউনিয়ন হিসাবে গড়ে তুলতে অতীতে কাজ করেছি আবারও নির্বাচিত হলে সে ধারা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।’