শ্রীমঙ্গল সবুজবাগ ইসকন মন্দিরের পরিচালক কানাই কৃষ্ণ দাশ জানান, ৫ হাজার বছরেরও অধিক সময় ধরে সনাতন ধর্মালম্বীরা প্রতি বছর এ উৎসবের আয়োজন করে আসছেন। তারা জানান, দ্বাপরযুগে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বৃন্দাবন লীলায় এ অন্যকুটের আয়োজন করেন। এর পর থেকে সনাতন ধর্মালম্বীরা তা আয়োজন করে আসছেন।
সবুজবাগ যুব পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিটন ধাম জানান, সবুজবাগ নিতাই গৌর মন্দিরে ভক্তদের নিয়ে এ অন্যকুটের আয়োজন করা হয়। অন্যকুটে প্রায় এক হাজার প্রকারের খাবার তৈরী করে ঈশ্বরের উদ্যেশে নিবেদন করা হয়।
ইসকন ভক্ত আনন্দময় কেশব প্রভু জানান, শ্রীমঙ্গল রুপসপুর আবাসিক এলাকায় মনোরঞ্জন দেবনাথ এর বাসবভনে রাধামাধব মন্দিরে আয়োজন করা হয় আরো একটি অন্যকুটের। যেখানে তরিরকারীসহ প্রায় ৫শত আট প্রকারের খাবার তৈরী করে ভগবানের উদ্দেশ্যে নিবেন করা হয়।
একইসাথে সবুজবাগ এলাকার প্রয়াত ধীরেন্দ্র মালাকারের বাড়িতে ১০৮ প্রকারের ও মৌলভীবাজারের অজিমেরু গোস্বামীবাড়িতে ১ হাজার ৮ প্রকারের রান্না করা খাবার তৈরী করে গিরিগোবর্ধনের উদ্দেশ্যে নিবেদন করা হয় বলে জানান, হরি ভক্ত বিষ্ণু ধর। তিনি জানান, প্রত্যেক জায়গাই এই ভোগ নিবেদনের সময় আয়োজন করা হয় বিশেষ সংকীর্তণ ও বিশ্বে চলমান অস্থিতিশীল অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনা।
শ্রীমঙ্গল উত্তরশূর ইসকন মন্দিরের পরিচালক সুমেধা শ্যাম দাশ ব্রম্মচারী জানান, অন্নকুট শব্দের অর্থ অন্নের পাহাড়। এই উৎসবে গিরিরাজ গোবর্ধন এবং ব্রাহ্মণের পূজার বিধান শাস্ত্রে দেওয়া আছে। দ্বাপরযুগে এই তিথিতে ভগবান দামোদর ইন্দ্রের প্রকোপ থেকে ব্রজবাসীদের অভয় দেওয়ার জন্য গিরিরাজ গোবর্ধনের পূজা এবং ব্রাহ্মণ পূজার প্রচলন করে ছিলেন। যা কালের পরিক্রমায় অভ্যাহত রয়েছে।