স্টাফ রিপোর্টার : কুলাউড়ায় প্রায় দশ মাস পর কাঙ্খিত ফাইজারের ভ্যাকসিন গ্রহণ করলেন মাহফুজ শাকিল (৩০) ও সৈয়দ আশফাক তানভীর (৩০) নামের দুইজন টিকা গ্রহিতা। উপজেলা পর্যায়ে প্রথমবারের মতো বিশেষ ফ্রিজিং ব্যবস্থায় কুলাউড়া উপজেলায় ফাইজারের বরাদ্দকৃত ১৮০০ টিকা প্রদানের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনায় ৪ ডিসেম্বর শনিবার সকাল থেকে পৌর শহরের উছলাপাড়াস্থ ইউনি এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ফাইজারের টিকা দিতে কয়েক শতাধিক টিকা গ্রহিতা উপস্থিত থাকলেও পেয়েছেন নির্ধারিত ৩০০ জন।
জানা যায়, প্রবাসী অধ্যুষিত কুলাউড়া উপজেলায় প্রথম থেকেই ফাইজার, মর্ডাণা টিকার বেশ চাহিদা ছিল। কিন্তু অনেকেই সিলেট ও ঢাকায় গিয়ে দালালের মাধ্যমে টিকা গ্রহণ করছেন। এছাড়া নিয়মিত সিনোফার্মা, এ্যাস্টোজেনেকা টিকা প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এদিকে উপজেলা পর্যায়ে উন্নত মানের ফাইজারের টিকা না আসায় অনেকের মতো স্থানীয় গণমাধ্যম ও সমাজকর্মী মাহফুজ শাকিল অপেক্ষায় ছিলেন প্রায় দশ মাস। অবশেষে প্রথমবারের মতো উপজেলা পর্যায়ে কুলাউড়ায় ফাইজার টিকা নিতে আগ্রহীদের মধ্যে বেশ উদ্দীপনা দেখা গেছে।
ফাইজার ভ্যাকসিন গ্রহণকারী মাহফুজ শাকিল জানান, আমি চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি টিকা গ্রহণের জন্য সুরক্ষা অ্যাপে আবেদন করেছিলাম। ২৩ ফেব্রুয়ারি টিকা দেয়ার তারিখ ছিল। কাঙ্খিত ফাইজারের ভ্যাকসিন না পাওয়ায় এতোদিন টিকা গ্রহণ করিনি। দীর্ঘ অপেক্ষার পর উপজেলা পর্যায়ে আমার মতো আরো অনেকে ফাইজারের টিকা গ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছেন। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এদিকে সৈয়দ আশফাক তানভীর জানান, ফাইজারের টিকার জন্য ঢাকায় পিজি হাসপাতালে আবেদন করেছিলাম। কুলাউড়ায় ফাইজারের টিকা আসায় এখানে দিয়েছি। এজন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই সংশ্লিষ্টদের।
টিকা কেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মকর্তা কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফিজিওথেরাপিস্ট দুলাল চন্দ্র পাল বলেন, টিকা গ্রহণে কুলাউড়ার লোকজনের বেশ উৎসাহ বেড়েছে। টিকা নিতে লাইনে অনেকে দাঁড়ালেও আমরা প্রথম ৩০০ জনকে টিকা দিয়েছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ ফেরদৌস আক্তার বলেন, প্রথম দিনে আমরা ৩০০ জনকে টিকা দিয়েছি। আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ১৮০০ জনকে ফাইজারের টিকা দেয়া হবে। মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল থেকে বিশেষ ফ্রিজিং ভ্যানে ভ্যাকসিনগুলো আনা হয়েছে। এছাড়া নিয়মিতভাবে হাসপাতালে প্রতিদিন সিনোফার্মার টিকা প্রদান কার্যক্রম চলছে।