তার ওই মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তিনি বলেন, ‘আপনি যদি সত্যিকার অর্থে নারীদের সম্মানে বিশ্বাস করেন, তাহলে সেই বিধায়কের মন্তব্যের নিন্দা করুন। এমন একজন মানুষকে বিচারের আওতায় আনুন। তারপর দেখব কে এই দেশে নারী ও শিশুদের পক্ষে কথা বলে। ’
বৃহস্পতিবার কর্ণাটক বিধানসভায় কৃষকদের নিয়ে আলোচনার সময় কংগ্রেস বিধায়ক কে আর রমেশ রাও বলেন, ‘একটি কথা আছে যে, যখন ধর্ষণ অনিবার্য, তখন শুয়ে পড়ুন এবং উপভোগ করুন। আপনি ঠিক সেই অবস্থানে আছেন। ’
বিধায়কের ওই মন্তব্যের জেরে বিধানসভায় হাসির রোল পড়ে যায়। একটি ভিডিওতে স্পিকারকেও হাসতে দেখা যায়।
এ ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরেই শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। এই মন্তব্যের পর শুক্রবার বিধান সভায় ক্ষমা চেয়েছেন কে আর রমেশ রাও। তিনি বলেন, ‘ওই মন্তব্য যদি নারীদের অনুভূতিতে আঘাত করে, তবে ক্ষমা চাইতে আমার কোনো সমস্যা নেই। আমি ক্ষমা চাইছি। ’
এ সময় বিধানসভায় স্পিকার বলেন, ‘তিনি (কে আর রমেশ রাও) ক্ষমা চেয়েছেন। আসুন এই বিষয়টি বাদ দিয়ে সামনে এগিয়ে যাই। ’
এর আগেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন কে আর রমেশ রাও। কর্ণাটকের স্পিকার থাকার সময় ঘুষ নেওয়ার বিষয়ে একটি অডিও টেপ ফাঁস হয়েছিল। এরপর পর বিধানসভায় তিনি বলেন, তার নিজেকে একজন ‘রেপ ভিক্টিম’ বলে মনে হচ্ছে। তখন বিধানসভার নারী বিধায়কদের দাবির মুখে মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হয়েছিল তাকে।