মেয়র নির্বাচন,বিবিসির প্যানারোমা,ও কতিপয় প্রোপাগান্ডা

শরীফুজ্জামান চৌধুরী (তপন : টাওয়ার হ্যামলেটস্ এর বাসিন্দা আসন্ন টাওয়ার হ্যামলেটস্ কাউন্সিলের নির্বাহী মেয়র নির্বাচনে বর্তমান মেয়র লুত্ফুর রহমান প্রতিদন্ধিতা করছেন,বিগত মেয়র নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পূর্ব থেকেই এক অসম যুদ্ধ তিনি করে চলেছেন,একাগ্রতা,আত্মবিশ্বাস,একই সঙ্গে কাজ কে ভালোবাসা ,আর ভালোবাসা থেকে দায়ীত্ত্ববোদ, সেই দায়ীত্ত্ববোদ থেকে কখনোই তিনি সরে আসেন নি,আপোস করেন নি,আমাদের এই পূর্ব লন্ডনে সমস্যার অন্ত নাই,প্রতিনিয়ত এক অস্তিতিশীল বৈরী রাজনৈতিক পরিবেশ মোকাবেলা করে তাকে প্রতি ইঞ্চি জায়গা করে নিতে হয়েছে,হচ্ছে,এক জন লুত্ফুর রহমানের সবচেয়ে বড় অপরাধ হলো,তিনি নেতা হিসেবে,মানুষ্ হিসেবে,একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে আত্মসম্মান নিয়ে,স্বাধীন ভাবে কাজ করতে চেয়েছেন,আমরা যারা সংখা লগু তারা বিনা বাক্যে লেবার পার্টি কে সমর্থন আগেও করেছি এখনো করি কিন্তু এখন বিনা বাক্যে করিনা,কারণ অতীতে দেখা গেছে লেবার পার্টির স্থানীয় যে বলয় রাজনীতি কে নিয়ন্ত্রণ করে তাদের দেয়া গাইড লাইনের বাহিরে গিয়ে আপনি কিছু করতে পারবেননা আর করলে লেবার পার্টি করতে পারবেননা, একটি পত্রিকায় গতকাল এক সাংবাদিক নানা ফিরিস্তি লিখে এক পর্যায়ে বাংলাদেশী জন গুষ্টি কে এক কেন্দ্রিক ও একটি কোটারী ভুক্ত করার জন্য মেয়র কে দায়ী করেছেন তিনি আরো এক কদম বাড়িয়ে লিখেছেন মেয়র লুত্ফুর যতো তাড়াতাড়ি বিদায় নেবেন ততো ভালো,আপনাকে কে এই একক দায়ীত্ত দিলো এটা বলার না দু লাইন লিখতে পারেন আর তা ইস্তেমাল করে দিলেন হয়তো চাকরিতে আরেকটি প্রোমোশনের আশায়,খুশী হতাম যদি সাহসের সহিত আপনার পরিচয় টি লিখতেন,কারণ আপনি যে এমপি রুশনারা আলীর মিডিয়া এডভাইসার হিসেবে কর্মরত এটা লিখা উচিত ছিলো,এখন আপনি মেয়র লুত্ফুর কে অরসালাইন বলেছেন, অরসালাইন তো হলেন আপনারা যারা অন্যের সিদ্ধান্তে চলেন অন্যের ইশারায় নাচেন অনেকটা পুতুল নাচের পুতুল, আমি যারা এই টাওয়ার হ্যামলেটস্ এর বাসিন্দা তাদের উদ্দেশ্যে কয়েকটি উদাহরণ দিচ্ছি এই কিছুদিন আগেও লেবার পার্টির একনিষ্ট নেতা কাউন্সিলার মিজান ,আনওয়ার খান এরা দু জনেই শিক্ষিত এবং তাদের দু জনকেই এবার মনোনয়ন দেয়া হয়নি,অতচ লেবার পার্টির মেম্বারশিপ ও যাদের ছিলনা এক সময় এরকম এক প্রার্থী কে আমি প্রশ্ন করে ছিলাম তুমি কবে থেকে লেবার পার্টি করো,বলতে পারেনি, পরে মনে করিয়ে দিলাম তুমি সহ তুমার পরিবারের আরো কয়েকজনকে লেবার মেম্বার আমিই ঘরে গিয়ে করেছিলাম,পরে আনুগত্যের পরীক্ষায় তুমরা যে ধারায় গেলে “মা,ছেলে ,ভাই,ভাবী ,স্বামী স্ত্রী ,মনোনয়ন পায় সেই ধারায় থাকার কারণে মনোনয়ন পেয়ে যাচ্ছে ,এখানে যুগ্যতা কে কতটা লেবারের রাজনীতির অনুসারী সেটা মুখ্য নয় মুখ্য হলো আপনি লেবারের একে দেয়া ছকের বাহিরে যেতে পারবেন না গেলেই আপনি,ধর্মান্ধ,সংকীর্ণ,প্রগতির বিরুদ্ধে ,আজ আমরা এমপি রুশনারা আলী কে নিয়ে গর্ব করি বলি তিনি এদেশে আমাদের প্রথম বাংলাদেশী এমপি,কিন্তু লেবারের এমপি পিটার শোর মারা যাওয়ার পরেই তো বাঙালি একজন এমপির দাবি উটেছিলো,কিন্তু সেদিন সে দাবি বাস্তবায়ন হয়নি কারণ “জি হুজুর ,জি হুজুর “বলার,গুলামী করার মানসিকতা র কতিপয় দালালদের জন্য,যদি রেসপেক্ট এর জর্জ এখানে এসে আমাদের প্রতিবাদী ভোট পেতেন না তাহলে পরের নির্বাচনেও রুশনারা আলীকেও লেবার মনোনয়ন দিতো না,এটাই বাস্তবতা , মেয়র লুত্ফুরের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বিবিসি সহ মূল স্রুতধারার মিডিয়ায় অভ্যাহত ভাবে কারা করছে তার একটি উধাহরণ হলো এই মিডিয়া এডভাইসারের এই লিখাটি এগুলিই অনুবাদ করে পাটিয়ে দেয়া হয় আসল মুনিবদের কাছে আর রং চং মাখিয়ে সেটা বহুদূর পর্যন্ত চলে,বলা হয় তার নিজের মানুষরা যখন এগুলি লিখচে বলছে তাহলে নিস্চয়ী কিছু আছে,আপনাদের অব্যাহত অপপ্রচারের কারণে তদন্ত একটা না আরো একশ টা করলেও কিছু যায় আসেনা কারণ, একজন সৎ মানুষ সব সময় সৎ আর প্রোপাগান্ডা সাময়িক,দিনের উদ্ভাসিত আলোকের সামনে অন্ধকার টিকতে পারেনি পারবেওনা। অপপ্রচারের জন্য যিনি এই লিখাটি লিখেছেন তাকে মনে করিয়ে দিতে চাই যে এক সময় আমাদের কে ঘর বিশেষ করে কাউন্সিলের ঘর পেতে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে আজ সেটা অনেক কমে গেছে আগামীতে সেটা আরো কমবে,আজ ফ্রি স্কুল মিল যেটা মেয়র শুরু করেছিলেন সেই কার্যক্রম সমগ্র ব্রিটেনে কনজারভেটিব চালু করতে যাচ্ছে,ছাত্রদের জন্য যে গ্রান্ট দেয়া হচ্ছে,এতে বারার গরিব মানুষরা উপকৃত হচ্ছেন,উন্নয়ন আজ যে টুকু তিনি করতে পারছেন নির্বাহী মেয়র না হলে তিনি সেটা করতে পারতেন না তাহলে যখন এই নির্বাহী মেয়র এর দাবি তোলা হয়ছিলো সেদিন লেবারের আজকে যারা লুত্ফুর রহমানের বিরুধিতা করছেন সেদিনও তারা এই প্রস্তাবের বিরুধিতা করেছেন,পরবর্তিতে যখন টাওয়ার হ্যামলেটস্ এর বাসিন্দারা রেফারেন্ডামে নির্বাহী মেয়র দাবী কে ভোটের মাধ্যমে প্রতিষ্টিত করলো তখনো কি আপনারা বলবেন যে লেবার পার্টি মানুষের মনের কথা বুজতে পেরেছিলো?সেদিন যেমন একটি কটারির সার্থে লেবার পার্টি পরিচালিত হয়েছে আজও লেবার পার্টি সেই কোটারী থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি,যে নেতৃত্ত যে দল মানুষের মনের ভাষা বুজতে পারেনা দালাল নির্ভর কে কতোটা চাটুকারিতা করতে পারে তার উপর নির্ভরশীল হয়ে পরে দরকার তো তাদের সংশূধন হওয়া,তারা ভুল থেকে সিধান্ত্ত নেননি,বরং ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন এবং আজ আপনি যে আশংকা করছেন সেটা অমূলক কারণ আমাদের মধ্যে এরকম প্রচারনাও ও আমরা দেখছি যে লেবার কে ভোট না দিলে আমাদের বিভিন্ন সুযুগ সুবিধা বন্ধ হয়ে যাবে, এক সময় বুজানোর চেষ্টা হয়ছে বেনিফিট এবং লেবার সমার্থক, কতো বড় আহামকের কাজ এগুলি আমাদের তৃতীয় /চতুর্থ প্রজন্মের বসবাস এই ব্রিটেনে লেবার পার্টি কে বাংলাদেশী ব্রিটিশরা অকাতরে সমর্থন করে গেছে এর মানে নয় আমরা পুতুল নাচের পুতুল হয়ে গেলাম,যে যেমনি নাচাবেন তেমনি নাচবো,বিষয় হলো আগামীতে আমাদের প্রয়জন এই বারার সকল ধর্মের,সকল বর্ণের সকল জাতির সকল বিশ্বাসের মানুষ কে একত্রিত করা এখানে যে দৃষ্টি ভঙ্গি দিয়ে লেবার,কনজার্ভেটিব,লিব ডেম (বিশেষ করে লেবার )দলীয় রাজনীতি পরিচালিত হয় তার সংশুধন জরুরি,দল করতে না দেয়া অন্যায় ভাবে দল থেকে বের করে দেয়ার জন্য লেবার পার্টি (আপনার লিখায় উল্লেখ)মেয়র লুত্ফুর কে জরিমানা দিতে বাধ্যহ হয়ছিলো,কিন্তু দলে ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়নি এতে কি প্রমান হয়না এটা ই লুত্ফুর রহমানের সফলতা, একজন খাটি লেবার নেতার যে চারিত্রিক বৈশিস্ট থাকার দরকার তা সবই থাকার পরও এবং মানুষের শতভাগ সমর্থন থাকার পরও আপনি লেবার পার্টি বৃটেনের যেকুনো জায়গায় করতে পারবেন শুধু টাওয়ার হ্যামলেটস্ এ করতে পারবেন না,কারণ হলো এখানে যারা স্থানীয় ভাবে লেবার পার্টি নিয়ন্ত্রণ করেন তাদের মনের কলুষতা আর শতভাগ প্রভুসুলভ আচরণের জন্য তবে আজ একজন লুত্ফুর রহমান আমাদের বর্তমান ও ভবিস্যত প্রজন্মের কাছে একজন আলোকুজ্জল পথ প্রদর্শক হিসেবে ই থাকবেন আপনাদের শত অপপ্রচার সত্বেও আর শুধু মাত্র আমাদের কমুনিটির নয় সকল মানুষের,(সাদা ,কালো,ক্রিস্টিয়ান,মুসলিম ,অমুসলিম,হিন্দু,বৌদ্ধ ইহুদি) ভালবাসায় সিক্ত হয়ে বিজয়ী হবেন ইনশাল্লাহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *