অনলাইন ডেস্ক : শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৬৮ রানের লিড পেয়েছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সফরকারীদের প্রথম ইনিংস ভালোই ছিল। লঙ্কানদের করা ৩৯৭ রানের জবাবে চতুর্থ দিনে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ৪৬৫ রানে। ওপেনার তামিম ইকবাল ১৩৩ রানের পর নিজের ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল‘ খ্যাত মুশফিকুর রহিম।
সেই সঙ্গে প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে পাঁচ হাজার রানের ক্লাবে প্রবেশ করেছেন এই ক্রিকেটার। এই সেঞ্চুরিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে অভিনন্দন বার্তা দিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেছেন মুশফিক পত্নী। নিজের ইনস্টাগ্রামে মুশফিকের ছবি পোস্ট করে ‘বিকল্প আছে তো?’ প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন জান্নাতুল কেফায়েত রহিম।
একই সঙ্গে মুশফিক পত্নী ‘বিদায়ের’ বার্তা দিলেন কি না সেটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনরা। তিনি ছবির ক্যাপশনে ছিখেছেন, ‘আমরা হাসিমুখেই বিদায় নিবো ইনশাআল্লাহ। তবে আপনাদের রিপ্লেসমেন্ট আছে তো?? সেদিকেও একটু নজর দিলে বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়ন হতো। ’
এমন একটা সময়ে মুশফিকের পরিবার থেকে এই বার্তা এলো যার কিছুদিন আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা টিম ম্যানেজমেন্টের সাথে একটি বৈঠক করে, যেখান থেকে বেরিয়ে গণমাধ্যমকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন বলেছিলেন, ‘সিনিয়র ক্রিকেটারদের উচিত নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবা। ’
সেদিন তিনি মুশফিকুর রহিমের কথা আলাদাভাবে উল্লেখ করে বলেন, ‘মুশফিক এখনো খেলছে। কিন্তু ওর চিন্তাভাবনা জানা যাবে। ও কী ভাবছে, আমরা জানতে পারব। ’
এর আগে বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টার বয় সাকিব আল হাসানের স্ত্রী শিশিরকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্রিকেট ইস্যু নিয়ে সরব থাকতে দেখা গেছে। তার বিস্ফোরক অনেক মন্তব্যে আলোচনায় এসেছে ক্রিকেটের অভ্যন্তরীণ অনেক ঘটনা।
এর আগে হঠাৎ টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলেছিলেন মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ। ২০১০ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত টানা আট বছর টেস্ট ফরম্যাটে কোনো সেঞ্চুরি পাননি মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ। এরপর ২০১৯-২০ সালে নানা সময়ে টেস্ট দলে রিয়াদের জায়গা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তিনি জিম্বাবুয়ের মাটিতে ১৫০ রানের একটি ইনিংস খেলার পর অবসর নিয়ে নেন। যদিও টেস্ট ফরম্যাটে অবসর নিয়ে কখনোই সেভাবে মুখ খোলেননি মাহমুদ উল্লাহ।
হারারেতে ২০২১ সালের জুলাই মাসে সতীর্থরা ‘গার্ড অব অনার’ দিয়ে তাকে মাঠ থেকে ড্রেসিংরুমে নিয়ে যান, যা দেখে নিশ্চিত হওয়া যায় তিনি আর টেস্ট ম্যাচ খেলছেন না।