জাতীয় প্রেস ক্লাবে অমিত হাবিবের জানাজা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার সম্পাদক সাংবাদিক অমিত হাবিবের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার (২৯ জুলাই) বেলা ১১টা ৪২ মিনিটে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের টেনিস গ্রাউন্ডে এ জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজায় ইমামতি করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের মসজিদের ইমাম মাওলানা জসিম উদ্দিন। এতে অংশ নেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, দৈনিক সমকালের সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন, ডিবিসি সম্পাদক ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, সহ-সভাপতি হাসান হাবীব। এছাড়াও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সম্পাদক, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক, সাংবাদিক নেতা, রাজনৈতিক নেতা এবং তার সহকর্মীরা জানাজায় অংশ নেন। এর আগে বেলা ১১টা ১০ মিনিটে সাংবাদিক অমিত হাবিবের লাশ জাতীয় প্রেস ক্লাবে আনা হয়। জানাজা শেষে তার মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সর্বস্তরের সাংবাদিকরা।
ডিইউজের শোক: সাংবাদিক অমিত হাবিবের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে গণমাধ্যম পাঠানো এক শোকবার্তায় ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন অমিত হাবিবের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫৯ বছর বয়সে মারা যান অমিত হাবিব। শুক্রবার (২৯ জুলাই) সকাল ১০টায় দেশ রূপান্তরের কার্যালয়ে প্রথম জানাজা শেষে তার লাশ জাতীয় প্রেস ক্লাবে আনা হয়। গত গত বৃহস্পতিবার দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার বার্তাকক্ষে কর্মরত অবস্থায় স্ট্রোক করেন তিনি। পরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে রাজধানীর বিআরবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৯৮৭ সালে খবর গ্রুপ অব পাবলিকেশন্সে একই সঙ্গে রিপোর্টার ও সহ-সম্পাদক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন অমিত হাবিব। পরে সাপ্তাহিক পূর্বাভাস পত্রিকায় সহ-সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৯১ সালে তিনি দৈনিক আজকের কাগজ পত্রিকায় জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক হিসেব যোগ দেন। এর পরের বছর একই পদে যোগ দেন দৈনিক ভোরের কাগজে। অল্প দিনের মধ্যে পদোন্নতি পেয়ে যুগ্ম বার্তা সম্পাদক ও পরে বার্তা সম্পাদক হন। ২০০৬ সালে বাজারে আসার আগেই ২০০৩ সালে তিনি দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকায় প্রধান বার্তা সম্পাদক হিসেবে যোগদান করেন। ২০০৭ সালে তিনি চীনের আন্তর্জাতিক বেতারে বিদেশি বিশেষজ্ঞ হিসেবে যোগ দেন। বেইজিংয়ে কর্মরত অবস্থায় দেশীয় সাংবাদিকতার সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে মনে হলে দেশে ফিরে আসেন। ২০০৯ সালে দৈনিক সমকালের প্রধান বার্তা সম্পাদকের পদ ছেড়ে দৈনিক কালের কণ্ঠে নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। ২০১৩ সাল থেকে তিনি কালের কণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। দৈনিক দেশ রূপান্তরের সূচনালগ্ন থেকে তিনি সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *