পৌরসভার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে ফজলুর রহমানের বিকল্প নেই

স্টাফ রিপোর্টার : আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে মৌলভীবাজার পৌরসভা সারা জেলায় মধ্যে একটি আলাদা গুরুত্ব বহণ করে। তিন উপজেলায় নির্বাচনে নৌকা মার্কার প্রার্থী বিজয়ী হওয়ায় জেলা সদরের পৌরসভা নিয়ে জনমনে বাড়তি আগ্রহ দেখা দিয়েছে। পৌরসভা স্থাপিত হওয়ার পর থেকে নিজ কর্মগুণে যে কয়জন চেয়ারম্যান ও মেয়র নাগরিকদের প্রশংসা কুঁড়িয়েছেন তাঁর মধ্যে অন্যতম তিনি। তাঁর হাত ধরেই পৌরসভা আধুনিকতার ছোঁয়া পেয়েছে। তাই বেশিরভাগ নাগরিকরাই মনে করেন বর্তমান মেয়র ফজলুর রহমানের বিকল্প নাই।
গত পাঁচ বছরে রাস্তাঘাট প্রশস্থকরণ ও নির্মাণকাজ, কোদালী ছড়া, পৌর ঈদগাহ, সুপেয় পানি, প্রবীণাঙ্গন ইত্যাদি ক্ষেত্রে পৌরসভায় যে উন্নয়ন কাজ হয়েছে তা ধরে রাখতে ফজলুর রহমানের ধারাবাহিকতাকে প্রাধান্য দিচ্ছেন পৌর নাগরিকরা। অনেকেই মনে করেন, সৈয়দ মহসীন আলী, মাহমুদুর রহমান এদেরই প্রতিফলন ফজলুর রহমান। শহরকে সাজাতে আধুনিক করতে এই দুজনের পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করছেন তিনি।

শুধুমাত্র রাজনীতিবিদই নন তিনি। তাঁর সময়ে সবচেয়ে বেশি শোভাবর্ধন হয়েছে পৌর এলাকার। শহরের শোভাবর্ধনে তাঁর জুড়ি নেই একথাটি নিন্দুকেরাও স্বীকার করে থাকেন। সৌন্দর্যপ্রিয় এই মানুষটির হাত ধরে নির্মিত হয়েছে একটি প্রবীণাঙ্গন। সেবক মনের এই মানুষটির হাত ধরে ইতিমধ্যে নির্মিত এই প্রবীণাঙ্গণে এই সকাল বিকেল ফুল ফোটে, নবীন ও প্রবীনরা আরাম আয়েশে হাঁটাচলা করে থাকেন। এখানে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক মানুষ বিনোদন খোঁজে পান। রয়েছে শারিরিক চর্চা কেন্দ্র। কোন ধরণের অনুমতি ছাড়াই এই প্রবীণাঙ্গণে লোকজন ইচ্ছেমতো আড্ডা দেন।
শহরবাসীর দু:খ ছিলো কোদালী ছড়া। যে ছড়ায় পানি নিষ্কাষণ হতোনা। কিন্তু এই ছড়াকে তিনি এখন নৌকা চলাচলের উপযুক্ত করেছেন। এখন সকাল বিকেল নিরবধি পানি চলে ছড়া দিয়ে। তাঁর হাত ধরেই ইতিমধ্যে ছড়াকে শহরবাসীর সকাল বিকেলের হাটাচলা ও বিনোদনের উপযুক্ত করতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। শহর অংশ ছাড়াও ছড়ার গ্রাম এলাকায় কিভাবে উন্নয়ন করা যায় তাঁরও পরিকল্পনা তিনি করে রেখেছেন।
এই শহরের সংস্কৃতিমনাদের দিকেও তাঁর নজর অব্যাহত রয়েছে। তিনি মেয়র চত্বরে পৌরসভার পুকুর অংশে একটি মুক্তমঞ্চ করার পরিকল্পনা করেছেন। যার কাজ তিনি খুবই দ্রুতই শুরু করবেন বলে জানা গেছে। এছাড়া সব বয়েসী মানুষের বিনোদনের জন্য তিনি চাঁদনীঘাট ব্রিজের পশ্চিমপাশ থেকে নদীর কোল ঘেঁষে একটি বিনোদন কেন্দ্র প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। অচিরেই সেই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে বলে জানা গেছে।

এছাড়াও তাঁর পরিকল্পনায় আরও উন্নয়নকাজ রয়েছে। তিনি সেগুলো বাস্তবায়নে সদা তৎপর। এসব কাজের কারণে পৌরসভায় তাঁর বিকল্প নাই মনে করছেন ভোটারসহ আশেপাশের ইউনিয়ন ও জেলার মানুষ।
অনেকেই মনে করেন, তিন উপজেলায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়লাভ করার পেছনে মৌলভীবাজার পৌরসভার বর্তমান মেয়র ফজলুর রহমানের দিক নির্দেশনা ও কৌশল কাজ করেছে। যার ফলে সেসব পৌরসভায় নৌকার প্রার্থীরা জয়লাভ করেছে।
এই প্রেক্ষাপটে আগামী ৩০ জানুয়ারী মৌলভীবাজার পৌরসভার নির্বাচনটি নিয়ে ভোটার ছাড়াও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ ফজলুর রহমানের জয়লাভের ক্ষেত্রে বেশি আশাবাদী হয়ে পড়েছে। আগামী নির্বাচনে যদি ফজলুর রহমান জয়লাভ করেন তাহলে মৌলভীবাজার জেলার পৌরসভাগুলোতে একটি ভারসাম্য আসবে এবং পৌরসভাগুলোতে ভবিষ্যত উন্নয়ন কাজ তরান্বিত হবে। বিগত পাঁচ বছরে মৌলভীবাজার পৌরসভায় যেভাবে উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে সেভাবে বাকী তিন পৌরসভায়ও কাজ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন সাধারণ মানুষ।

ফজলুর রহমান শুধু মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়রই নন। তিনি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি থেকে শুরু করে যুবলীগের নেতা এবং বর্তমানে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর রয়েছে দীর্ঘ রাজনৈতিক ক্যারিয়ার। সারা জেলায় রয়েছে তাঁর অনুসারী বিশাল একটি কর্মীবাহিনী। এছাড়া গত পাঁচ বছরে তিনি মৌলভীবাজার পৌরসভার রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন অবকাঠামোর উন্নয়ন করে শুধু পৌর নাগরিক নয় প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের উন্নয়নের রূপকার হিসেবে ইতিমধ্যে প্রশংসিত হয়েছেন।
নির্বাচন সন্নিকটে থাকায় দিনরাত চলছে তাঁর প্রচারণা। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সংগঠন দিনরাত তাঁর বিজয়ের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। উঠোন বৈঠক, সভা-সমাবেশ, লিফলেট বিতরণসহ তাঁর বিগত দিনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন বিশাল কর্মীবাহিনী। নির্বাচনী প্রচারণায় পিছিয়ে নেই তিনিও। এসব প্রচারণার মাঝেও তিনি থেমে নেই। পৌর নাগরিকের যেকোন সমস্যা সমাধানে এখনও কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি যেকোন নাগরিকের সমস্যার কথা শুনতে মোবাইল ফোন ধরছেন এবং সমস্যাগুলো সাথে সাথেই সমাধান করার ব্যবস্থা করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *