এম এম শাহীনের ফেসবুক থেকে : সাংবাদিক শামসুল ইসলাম আর নেই। ২৩ মার্চ বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টায় তিনি ইন্তেকাল করেন(ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি দীর্ঘকাল ঠিকানা’র শিকাগো প্রতিনিধি ছিলেন।শিকাগো কম্যুনিটির আপনজন ও লিডার ছিলেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায় তিনি ২৩ মার্চই অবকাশ শেষে শিকাগো ফিরে আসার কথা ছিল।কিন্তু দু’দিন আগে হঠাৎ জ্বর আসায় ঢাকায় কোভিড টেস্ট করান।পরীক্ষায় তার দেহে কোভিডের সংক্রমণ ধরা পড়ে।এ সময় তিনি মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ায় তার পৈত্রিকবাড়িতে আইসোলেশনে যাবার সিদ্ধান্ত নেন।সে মতে, ২৩ মার্চ ঢাকা হতে কুলাউড়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।গাড়ি মৌলভীবাজার শহরের কাছাকাছি পৌঁছালে দুর্ভাগ্যজনকভাবে তিনি রাস্তাতেই প্রাণত্যাগ করেন।
মরহুম সাংবাদিক ও কম্যুনিটি লিডার শামসুল ইসলাম প্রায় তিন দশক থেকে শিকাগোপ্রবাসী।মৃত্যুকালে তিন সন্তান ও স্ত্রীসহ অসংখ্য আত্বীয়স্বজন রেখে গেছেন।উল্লেখ্য, তার মামা বাংলাদেশ সরকারের শিকাগো স্টেট এর অনারারি কনসাল জেনারেল মনির চৌধুরী। শামসুল ইসলামের জন্ম কুলাউড়ার কাদিপুর ইউনিয়নে। তার বাবা আব্দুল গফুর মা আবু বেগম উভয়ে শিক্ষকতা পেশায় ছিলেন। প্রচন্ড দেশপ্রেমিক শামসুল ইসলাম গত বছর দেশে যেতে পারেননি, তাই করোনার প্রকোপ কিছুটা কমতেই তিন মাস আগে দেশের টানে কুলাউড়া যান।অবশেষে দেশের মাটিতেই তার শেষ আশ্রয় হলো।
সাংবাদিক শামসুল ইসলামের অকস্মাৎ মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছে ঠিকানা কর্তৃপক্ষ।তিনি দীর্ঘদিন শিকাগো থেকে ঠিকানা’র জন্য সংবাদ পাঠিয়েছেন।তার দায়িত্ব ও কর্মনিষ্ঠা ঠিকানাকে সবসময়ই বিস্মিত করেছে। মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা।