সাবেক এমপি আব্দুল মতিনের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ

কুলাউড়া প্রতিনিধি : মৌলভীবাজার-২ কুলাউড়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আব্দুল মতিন এর নাম ব্যবহার করে অজ্ঞাত একটি অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে সাবেক এ সাংসদ গত মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। যার অনুলিপি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি/সম্পাদক, পৌর মেয়র, উপজেলা প্রশাসনের সকল দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, কুলাউড়া থানার অফিসার ইনর্চাজ ও গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে দেয়া হয়েছে।
কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আব্দুল মতিনের লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, বর্তমানে তিনি বয়োবৃদ্ধ অবস্থায় ঢাকাস্থ বাসায় অবস্থান করে জীবনযাপন করেছেন। তাঁর সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের মধ্যে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে রিলিফ কমিটির চেয়ারম্যান, ৪ বার নির্বাচিত কুলাউড়ার জয়চন্ডী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, দুইবার নির্বাচিত কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সর্বশেষ ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একজন এমপি হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে গণমানুষের কল্যাণে কুলাউড়ার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, অসংখ্য রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণ, বিদ্যুতায়নসহ বর্তমান সরকারের নানাবিধ উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। এতে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে তাঁর সুসম্পর্ক তৈরী হয় এবং বর্তমানেও তা বিদ্যমান রয়েছে। এরই সুযোগে তিনি কুলাউড়ায় অবস্থান না করার সুবাদে কতিপয় অসাধু ব্যক্তি ও চক্র তাঁর নাম, পরিচয় ব্যবহার করে সম্পূর্ণ অন্যায় ও অনৈতিকভাবে বিভিন্ন মহলে চাঁদা দাবী করে দীর্ঘদিনের অর্জিত সুনাম বিনষ্ট করার বিষয়টি তিনি অবহিত হন। সম্প্রতি কুলাউড়া উপজেলা উপজেলা প্রকৌশলীর মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন (০১৭১৫-২৫৭০৫১) নং মোবাইল থেকে কে বা কারা প্রকৌশলীর উর্ধ্বতন বিভিন্ন কর্মকর্তাকে তাঁর নাম, পরিচয় ব্যবহার করে ফোন করে চাঁদা দাবী করেছে। বিষয়টি তাঁর দৃষ্টিগোচর হওয়ার সাথে সাথে তিনি ঢাকা থেকে কুলাউড়ায় পৌঁছে তাঁর দীর্ঘদিনের সুনাম নষ্ট করার কাজে লিপ্ত অসাধু ওই চক্রকে আইনের আওতায় এনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সহায়তা চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, আইনী সহায়তার জন্য সাবেক এমপি মহোদয় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ ঘটনার সাথে জড়িত ওই অসাধু চক্রটিকে কুলাউড়া থানা পুলিশের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। চক্রটিকে খুঁজে বের করার পর তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *