ভাটেরায় নৌকা বঞ্চিত চেয়ারম্যান নজরুলের মনোনয়ন জমা

এম. মছব্বির আলী : আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ভাটেরা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান, জেলা যুবলীগের সদস্য ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ একেএম নজরুল ইসলাম। ২ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার আহসান ইকবালের কাছে তিনি এ মনোনয়ন পত্র জমা দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ভাটেরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাজী ইন্তাজ আলী, সাবেক সহ-সভাপতি হাজী সৈয়দ দুদু মিয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জমির আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল বকুল, বর্তমান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হাজী কমর উদ্দিন, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা হাজী কুটি মিয়া, সোনা মিয়া, বাবুল আহমদ, যুক্তরাজ্য যুবলীগ নেতা সৈয়দ ফয়জুল ইসলাম, ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সমছ উদ্দিন, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি তালুকদার সুমন, ভাটেরা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বির আহমদ সাগর, যুবলীগ নেতা মাহতাব উদ্দিন, তারেক আহমদসহ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সৈয়দ একেএম নজরুল ইসলামকে নিয়ে তাঁর বিশাল কর্মী সমর্থক ও এলাকার প্রায় সহস্রাধিক লোক তিন শতাধিক মোটরসাইকেল ও শতাধিক গাড়িবহরের শোভাযাত্রা নিয়ে ভাটেরা থেকে কুলাউড়ায় আসেন। এসময় নেতাকর্মীরা চেয়ারম্যান নজরুলের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়ে শ্লোগান দিতে থাকেন।
চেয়ারম্যান প্রার্থী সৈয়দ একেএম নজরুল ইসলাম বলেন, গত ইউপি নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে নৌকার মনোনয়ন দিয়েছিলেন। আমি নৌকার বিজয় উনাকে উপহার দিয়েছিলাম। আমার পরিবার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির। ছাত্রলীগের রাজনীতি করে বর্তমানে যুবলীগের রাজনীতি করছি। কিন্তু এবার আমি বর্তমান চেয়ারম্যান থাকা সত্ত্বেও আমাকে নৌকা প্রতীক থেকে বঞ্চিত করে একজন প্রবাসীকে নৌকা দেয়া হয়েছে। যাকে নৌকা দেয়া হয়েছে তিনি আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নন। গত ইউপি নির্বাচনে তিনি নৌকা বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছিলেন।
তিনি আরো বলেন, আমি দলের সিদ্ধান্তের প্রতি সবসময় শ্রদ্ধাশীল। দলের যেকোন সিদ্ধান্তের বাইরে আমি যাবো না। আমার এলাকার জনগণের ভালোবাসার কাছে হেরে গিয়ে আমি মনোনয়ন দিতে বাধ্য হয়েছি। আশা করি আমার অবস্থান সম্পর্কে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী আমার প্রাণের নেত্রী অবগত হয়ে আমার বিষয়টি বিবেচনা করবেন। আমার এলাকার জনগণ ও আমাকে নিরাশ করবেন না। আমি আওয়ামীলীগে ছিলাম, আছি থাকতে চাই। আমাকে নৌকার মনোনয়ন দিলে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত ছিল। বর্তমানে যাকে নৌকা দেয়া হয়েছে তাঁর নেতৃত্বে কোনভোবেই নৌকার বিজয় আশা করা যায়না।
স্থানীয় এলাকার কাঙ্খিত উন্নয়ন ও আওয়ামীলীগকে সুসংগঠিত করেছিলাম বলেই আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও এলাকার প্রায় সহস্রাধিক সমর্থকদের নিয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্ব স্বীকৃত। ইনশাল্লাহ্ আগামী ২৮ নভেম্বরের নির্বাচনে আমার এলাকার জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে মানুষের জীবন মানন্নোয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *