বিতর্কের জবাব দিলেন আরিফিন শুভ (ভিডিও)

স্টাফ রিপোর্টার : ‘মিশন এক্সট্রিম’ ছবির প্রিমিয়ার শোয়ে ‘বঙ্গবন্ধু’ ছবির শুটিংয়ের পোশাক ও মাথায় বঙ্গবন্ধু লেখা টুপি পরে আসা এবং ৭১ কে সেভেনটি ওয়ান এবং ৫২ কে ফিফটি টু বলায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ। এবার এসব বিতর্কের জবাব দিয়েছেন তিনি। নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে আপলোড করা একটি ভিডিও বার্তায় এ নায়ক জানান, ‘বঙ্গবন্ধু’র শুটিং চলাকালীন অফস্ক্রীণে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পোশাক (ঢোলা পায়জমা, পাঞ্জাবি) পরে থাকেন। তিনি বলেন, আমার ক্ষুদ্র প্রয়াস, যে চরিত্রটিতে কাজ করছি সে চরিত্রটিতে বসবাস করার জন্য। এখানে আহামরি কোনো বিষয় নেই। ‘বঙ্গবন্ধু’র শুটিং যখন শুরু হয় তখন কেউ যদি আমাকে দেখে থাকেন, তাহলে দেখবেন আমি অফস্ক্রীণেও এ কাপড় পরে থাকতাম। তখন অবশ্য মাথায় কোনো কাপড় পরতাম না। পরে অবশ্য অনেকে আমার মাথায় কিছু না কিছু দেখেছেন। এর একটি কারণ আছে, সে কারণটি বলতে চাই ক্ষোভে দুঃখে। কিন্তু আমি তা বলবো না, তাতে আমার অন্য আরেকটি সন্তানের ক্ষতি হবে, তার নাম ‘নূর’। ‘মিশন এক্সট্রিম’র প্রিমিয়ারে মাথায় বঙ্গবন্ধু লেখা সবুজ ও সাদা রঙের একটি টুপি পরে যান শুভ। এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, এটি আমি পরে যেতে চাইনি। আমাদের ৭ই মার্চের ভাষণের দৃশ্যায়ণ চলছিল। সেখানে যারা ক্রাউডের (বক্ততা শুনতে আসা জনতা) অভিনয় করছিলেন তাদের অনেকের মাথায় এ টুপিটি (সবুজ-সাদা টুপিতে ‘বঙ্গবন্ধু’ লেখা) পরা ছিল। বিষয়টি ইন্টারেস্টিং লাগলো। আমার কাছে মনে হলো, গায়ের পোশাকের সাথে মাথায় অন্য কাপড় ভালো লাগবে না, আমি এটি (বঙ্গবন্ধু লেখা টুপি) পরে চলে যাই। ইংরেজিতে লেখা চিত্রনাট্য দেখিয়ে বলেন, অনেক দিন ধরে সেভেনটি ওয়ান, ফোরটি এইট, ফিফটি টু, সিন থার্টি ওয়ান, থার্টি টু- ব্যাপারগুলো আমার সঙ্গে চলছে। দেশপ্রেম সম্পর্কিত বিতর্কের জবাবে বলেন, মিশন এক্সট্রিমের গল্প যখন সানী সানোয়ার আমাকে প্রথম শোনায় সেখান থেকে একটা জিনিস আমি প্রথম পেয়েছিলাম দেশপ্রেম। দেশের প্রতি ভালোবাসা, দেশের প্রতি মায়া। ছবিটির প্রথম পর্ব যারা দেখেছেন, তারা হয়তো বিষয়টি উপলব্ধি করেছেন। ‘মিশন এক্সট্রিম’র দ্বিতীয় পর্ব যখন আসবে তখন আরও পরিষ্কার হবে এটি দেশপ্রেমের ছবি। দেশকে ভালোবাসার একটি ছবি। একাত্তরকে সেভেনটি ওয়ান বলা যদি অপরাধ হয়, আমি ক্ষমা চাইছি। বায়ান্নকে ফিফটি টু বলাতে যদি অন্যায় হয়ে থাকে তাহলে আমি ক্ষমা চাইছি। কিন্তু বায়ান্নকে তেপান্ন তো বলিনি। বায়ান্নকে তো একান্ন বলিনি। একাত্তরকে তো ৭৩ বলিনি। আমার জীবনে এ মুহূর্তে যে ঘটনাগুলো ঘটছে সেখান থেকে হয়তো সেভেনটি ওয়ান, ফিফটি টু বলেছি। কি অপরাধ করেছি? যদি অপরাধ হয়ে থাকে আমাকে ক্ষমা করবেন। তিনি সবশেষ বলেন, আমি তো মানুষ, ভুল-ত্রুটি হতেই পারে। কিন্তু আজকে যেখানে হল নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে সেখান থেকে আমরা একটু চেষ্টা করছি। সে চেষ্টাটা কেনো অনেকের ভালো লাগছে না। একটা সিনেমা দেখতে এলে অনেক ক্ষতি কার হয়ে যাচ্ছে, কাদের হয়ে যাচ্ছে? আমি সবসময় বলেছি, ভালো ছবি যারই হোক আপনারা হলে গিয়ে দেখুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *