নাইরোবিতে বিজয় দিবস পালন

বিশেষ প্রতিনিধি : বাংলাদেশ হাই কমিশন, নাইরোবিতে  দিনব্যাপি কর্মসূচীতে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মহান বিজয়ের ৫০-তম বার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এ উদযাপনে যোগ করে এক অনন্য মাত্রা। বিজয় দিবসের দিন সকালে, হাই কমিশন প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার সায়েম আহমেদ। মিশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী এসময়ে উপস্থিত ছিলেন। দুপুরে, মিশনে মুজিববর্ষ ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানের শপথবাক্য পাঠ করা হয়। সন্ধ্যায়, বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য উপলক্ষে মিশনে এক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জাতির পিতা, জাতীয় চার নেতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রথমে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর, মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী’র বিজয় দিবসের বাণী পাঠ করা হয়। বরাবরের মতো, দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে বাংলাদেশি শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীদের বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর, অতিথিবর্গের মুক্ত আলোচনা এবং দেশাত্মবোধক সঙ্গীত ও কবিতা পরিবেশিত হয়। ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনারের সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে এ পর্বের অনুষ্ঠান শেষ হয়। কোভিড-১৯ মহামারীর প্রেক্ষিতে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। বক্তারা বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও বিজয় অর্জনে অবদান পালনকারী প্রত্যেকের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয়ের চেতনায় দেশ গড়ার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন। তারা স্বাধীন বাংলাদেশের অর্ধশতাব্দীর অর্জনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার বক্তব্যের প্রথমেই সবাইকে মুজিব বর্ষ ও মহান বিজয়ের ৫০-তম বার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানান। বিজয় উদযাপনের এই ক্ষণে তিনি জাতির পিতা, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের শহীদ, মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধে ত্যাগ স্বীকার করা সব ব্যক্তিবর্গের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা নিবেদন করেন। অর্থনৈতিক-সামাজিক-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অভূতপূর্ব সাফল্যের উল্লেখ করে তিনি বলেন, চূড়ান্ত বিজয়ের মাধ্যমে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হওয়াতেই এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের এক গর্বিত রোল মডেল। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ভিশন-২০২১’, ‘ভিশন-২০৪১’ ও ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’ বাস্তবায়নে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখি-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় স্ব-স্ব অবস্থান থেকে অবদান রাখার জন্যে তিনি সবাইকে আহ্বান জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *