জুড়ী উপজেলা পরিষদ ও পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা

জুড়ী অফিস- মৌলভীবাজারের জুড়ীতে উপজেলা পরিষদ মাসিক সাধারণ সভা ও পুষ্টি সমন্বয় কমিটির দ্বি-মাসিক সভা ৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) রনজিতা শর্মার সভাপতিত্বে মাসিক সমন্বয় সভা এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পুষ্টি সমন্বয়ক কমিটির উপদেষ্টা ও উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রঞ্জিতা শর্মা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা পুষ্টি সমন্বয়ক কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সমরজিত সিংহ। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, নবাগত উপজেলা প্রকৌশলী ননী গোপাল দাশ, নির্বাচন কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবু ইউসুফ,জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা তপন সুত্রধর,সাগরনাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর নূর, ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুক আহমেদ, জায়ফরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মাছুম রেজা, পশ্চিমজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনফর আলী , পূর্বজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওবায়দুল ইসলাম রুয়েল, গোয়ালবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জুড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, দৈনিক প্রথম আলো প্রতিনিধি কল্যাণ প্রসূন চম্পু, দৈনিক ভোরের কাগজ প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম সুমন, জুড়ী রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মনিরুল ইসলাম, এনজিও সংস্থা সূচনার নিউট্রিশন অফিসার মােঃ ওসমান গনি সিদ্দিকী, ইউনিয়ন কো-অর্ডিনেটর মােঃ নিজাম উদ্দিন সহ সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তাগণ। সভায় উপস্হিত সকলেই জুড়ীতে চলমান বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন।পুর্বজুড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রুয়েল উদ্দিন তার ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তার করুন অবস্হার চিত্র তুলে বলেন, সভায় কথা বলে কি লাভ হবে জানিনা।কারণ,আমাদের কথাগুলো শুধুমাত্র কাগজেই লিখা থাকে।তার কোনো বাস্তবায়ন নাই। সাগরনাল ইউপি চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্বা আং নুর উপজেলা পরিষদের সভা নির্ধারিত সময় শুরু না হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন,আমরা জনগণের প্রতিনিধি। এলাকায় দিনরাত মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে খোঁজ করে।এখানে এসে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে মিটিংয়ের জন্য অপেক্ষা করতে হয়।এলাকার মানুষ একটি স্বাক্ষরের জন্য বিরক্ত হয়ে বলবে ভোটের সময় তো আবার আসবে? অতীতে আমরা কুলাউড়ায় ছিলাম।এভাবে কোনোদিন সভায় গিয়ে অপেক্ষা করতে হয়নাই।তখন আমাদের কুলাউড়ায় একটি মিনি পার্লামেন্ট ছিলো। ফুলতলা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুক আহমদ নিজেই বিদ্যুৎ বিল নিয়ে ভুক্তভোগীর কথা তুলে ধরে বলেন, ভুতুড়ে বিল নিয়ে মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। জায়ফরনগর ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মাছুম রেজা বলেন,মিটিংয়ে আসার সময় দেখলাম জুড়ী বাজারের রাস্তার কাজ আবার শুরু করেছে।তবে দীর্ঘদিনের ভোগান্তি রেলব্রীজের সমস্যা কবে শেষ হবে জানিনা? তবে ছোট ছোট গাড়ী চলাচলের জন্য আলাদা সোজা একটি রাস্তার ব্যবস্হা গ্রহণের মাধ্যমে মানুষের কষ্ট দুর করার অনুরোধ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *