চীন ভারতকে কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখে না: রাষ্ট্রদূত লি

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, এই অঞ্চলে উন্নয়ন, শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা একটি প্রতিশ্রুতিশীল দৃষ্টিভঙ্গির পূর্বাভাস দেখছি (বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে)। আমরা একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।’

রাষ্ট্রদূত লি বুধবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ডিক্যাব টক’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ইউক্রেন ইস্যুতে চীন বাংলাদেশের মতোই একই মত পোষণ করে এবং শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যা সমাধানের জন্য সংলাপ ও আলোচনার গুরুত্ব তুলে ধরে।

রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত লি বলেন, চীন রোহিঙ্গাদের দ্রুত তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে।

রাষ্ট্রদূত ঋণ ব্যবস্থাপনা, বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়েও কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে চীনা ঋণের কোনো ফাঁদ নেই। বিশ্বব্যাপীও চীনা ঋণের কোনো ফাঁদ নেই।’

তিনি আরও বলেন, চীন কখনোই দেশের মুসলমানদের বিরুদ্ধে কাজ করে না এবং তাদের কোনো গোষ্ঠীর প্রতি ঘৃণা বা বৈষম্য করার কোনো বিশেষ কারণ নেই।

লি বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ ভুয়া খবর (উইঘুর মিডিয়াতে যা দেখা যায়)।’

ভারত-চীন সম্পর্কের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা ভারতকে কখনোই কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী বা প্রতিযোগী হিসেবে দেখি না। ব্যক্তিগতভাবে, আমি ভারতের একজন বড় ভক্ত। অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা আরও ঘনিষ্ঠভাবে একসঙ্গে কাজ করতে পারি।’

তিনি সমস্যা সমাধানের ‘এশিয়ান ওয়ে’ অনুসরণ করার ওপর জোর দেন।

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) এর ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রামের আয়োজন করে। চীনা রাষ্ট্রদূতের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ডিক্যাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস এবং সাধারণ সম্পাদক ও ইউএনবির কূটনৈতিক সংবাদদাতা একেএম মঈনুদ্দিন।

—-ইউএনবি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *