সিলেট অফিস: মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সিলেটের দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয় বোর্ডের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে অভিযোগকারীকে পদোন্নতি না দিয়ে বরখাস্ত করা হয়েছে এমনটি ও তিনি জানিয়েছেন। বুধবার সিলেট প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার সাটিয়াজুরী কালাপুর গ্রামের মরহুম মো. আবুল হাসিমের পুত্র মো. সাইফুল ইসলাম। লিখিত বক্তব্যে সাইফুল ইসলাম বলেন, ২০০০ সালের ১৪ই নভেম্বর তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সিলেটে সেকশন অফিসার পদে যোগদান করেন। শিক্ষা বোর্ডের যাত্রালগ্ন থেকে প্রশাসন শাখায় দায়িত্ব পালনকালে কতিপয় অসৎ ও দুর্নীতিবাজ কর্মচারীর সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়। কর্মচারীদের সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেটের অপতৎপরতার ফলে তিনি কয়েক দফা পদোন্নতি বঞ্চিত হন। তিনি অভিযোগ করেন ২০০৫ সালে সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পদে পদোন্নতির যোগ্যতা অর্জন করেন এবং পদোন্নতির জন্য যথারীতি আবেদন করেন। কিন্তু দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের সিন্ডিকেটের বাধার কারণে তৎকালীন চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল বাকী চৌধুরী পদোন্নতি কার্যক্রম গ্রহণ করেননি। ২০০৯ সালে তাকে ডিঙ্গিয়ে জুনিয়র সেকশন অফিসার হাবিবা বাছিতকে সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পদে পদোন্নতি দেয়া হলে তিনি উচ্চ আদালতে রীট পিটিশন দায়ের করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ২০১৭ সালে ওই রীট পিটিশনের রায়ে আমাকে পদোন্নতি দেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়। তৎকালীন চেয়ারম্যান উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করেন যা ২০১৮ সালের ১৪ই মে খারিজ হয়। কিন্তু তাকে পদোন্নতি দেয়া হয়নি। এর প্রেক্ষিতে তিনি তৎকালীন চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. আব্দুল কুদ্দুছ-এর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেন। তখন তিনি বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের চেক আদালতে দাখিল করেন এবং ‘শিগগিরই পদোন্নতি দেয়া হবে’-এ মর্মে বক্তব্য দিয়ে আদালত অবমাননার মামলার দায় থেকে অব্যাহতি লাভ করেন। কিন্তু তিনি পরবর্তীতে তাকে পদোন্নতি দেননি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি স্বল্প সময়ের মধ্যে পরবর্তী সভা আহ্বান করে তাকে সভায় উপস্থিত হয়ে তার আত্মপক্ষ সমর্থনমূলক লিখিত দলিলপত্র ও মৌখিক ব্যাখ্যা উপস্থাপনের সুযোগ এবং তার চূড়ান্ত বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার করতঃ তাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করার দাবি জানান।