জুড়ীতে ভাশুরের দায়ের কোপে  ছোট ভাইয়ের স্ত্রী আহত  

হারিস মোহাম্মদঃ মৌলভীবাজার  জেলার জুড়ীতে ভাশুরের এলোপাতাড়ি দায়ের কোপে মারাত্মক আহত হয়েছেন ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ও স্ত্রীর প্রতিবন্ধী এক ভাই। ঘটনাটি বুধবার (৩০ আগস্ট) উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নের কোনাগাঁও গ্রামে ঘটেছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সেলিম মিয়া (৪৫) পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় আহত লিজা বেগম (২৬) ও তার ৭/৮ বছর বয়সী এক প্রতিবন্ধী ভাই সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিঊৎসাধীন আছে। জানা যায়, আহত লিজা বেগমের স্বামী আপ্তাব আলীর (কালতো) কাছে ৫০ হাজার টাকা পান অভিযুক্ত আপন বড় ভাই সেলিম মিয়া। এই নিয়ে স্থানীয় ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদে এ বিষয়ে বুধবার সালিশ অনুষ্ঠিত হয়। সালিশে আগামী বুধবার সেলিম মিয়ার প্রাপ্য ৫০ হাজার টাকা বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় আপ্তাব আলীকে। উভয়পক্ষ তা মেনে নিয়ে ইউনিয়ন ত্যাগ করেন। তার ঠিক ১ ঘন্টা পরে অভিযুক্ত সেলিম মিয়া আপ্তাব আলীর বাড়িতে দা নিয়ে হামলা করেন। এসময় আপ্তাব আলী বাড়িতে না থাকায় হামলার শিকার হন তার স্ত্রী লিজা। তখন বাড়িতে থাকা লিজার ৭/৮ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী ভাইকেও দা দিয়ে কোপান সেলিম মিয়া।
অভিযুক্ত সেলিম মিয়ার স্ত্রী ফোনালাপে জানান, “আমরা আলাদা বাড়িতে থাকি। আমি শুনেছি আমার স্বামী লিজা ও তার ছোট ভাইকে মেরেছেন। খবর পেয়ে তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখি তাদেরকে স্থানীয়রা জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেছেন। তখন আমার শ্বশুরসহ আমি তৎক্ষনাৎ সেখানে গিয়ে সেখানেও তাদেরকে পাই নি। আমরা যাওয়ার কিছুক্ষণ আগে তারা জুড়ী থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছেন। তারপর আমরা বাড়িতে চলে আসি।”
স্থানীয় ইউপি সদস্য ইমতিয়াজ গফুর মারুফ হামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “আহত লিজা ও তার প্রতিবন্ধী ভাইকে মারাত্মক আহত অবস্থায় এলাকাবাসী দুপুরে ইউনিয়নে নিয়ে আসেন। অবস্থা গুরুতর দেখে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেই। তারপর তারা জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। শুনেছি তারা জুড়ী থানায় আহতদের দেখিয়ে সিলেটে নিয়ে গেছে।”
জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সমরজিৎ সিংহ বলেন, “আহতদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে সিলেট এমএ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে”।
জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, “আহতদের থানায় নিয়ে আসলে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেই। হামলার ব্যাপারে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *