মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আলহাজ্ব মিয়া মনিরুল আলমের মৃত্যুতে স্মরণসভা  অনুষ্ঠিত

জেসমিন  মনসুর: বৃটেনে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ,কমিউনিটি নেতা ,রাজনীতিবীদ ,প্রবীন ক্যাটারারস ও বিশিষ্ট সমাজসেবী একাটুনা ইউনিয়ন ফাউন্ডেশন অব মৌলভীবাজার এর প্রতিষ্ঠাতা ট্রাষ্টি ও  প্রাউড টু বি সিলেটি ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্ট ইউকের উপদেষ্টা মরহুম
আলহাজ্ব মিয়া মনিরুল আলমের মৃত্যুতে গত রোববার  রাত ১১টার সময় ভ্যাচ্যূয়ালী এক স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
প্রাউড টু বি সিলেটি ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্ট ইউকের প্রেসিডেন্ট বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী হারুনুর রশিদ এর
সভাপতিত্বে এবং প্রাউড টু বি সিলেটি ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্ট ইউকের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান রানা ও প্রাউড টু বি সিলেটি ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্ট ইউকের চ্যারিটি কোডিনেটর বিশিষ্ট সাংবাদিক মোহাম্মদ মকিস মনসুর এর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় মরহুম মিয়া মনিরুল আলমের জীবনের বিভিন্ন দিক ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন গ্রেটার সিলেট কাউন্সিল ইন ইউকের প্রেটন ও সাবেক চেয়ারপার্সন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. হাসনাত এম হোসেইন এমবিই, জি এস সির প্রেটন, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কমিউনিটি লিডার কে এম আবু তাহের চৌধুরী,৭১ এর বীর মুক্তিযোদ্ধা  প্রবীণ কমিউনিটি লিডার এম এ মান্নান ,গ্রেটার সিলেট কাউন্সিল ইউকের সাবেক সেক্রেটারি  ৭১ এর বীর মুক্তিযোদ্ধা
সৈয়দ আব্দুল ক্বাইউম কয়ছর , যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল আহাদ চৌধুরী, গ্রেটার সিলেট কাউন্সিল ইউকে স্পোর্টস মাউথ শাখার  সাবেক সভাপতি মসুদ আহমেদ, প্রাউড টু বি সিলেটি ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্ট ইউকের ট্রেজারার এম জামাল হোসেন, ইউকে বিডি টিভির ভাইস চেয়ারম্যান শেখ নুরুল ইসলাম, গ্রেটার সিলেট কাউন্সিল ইন ইউকের সাউথ ওয়েস্ট রিজিওন এর সাবেক সেক্রেটারি সৈয়দ আবু সাঈদ আহমেদ, বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী সীপার করিম,সাংবাদিক রাকিব রুহেল ,গ্রেটার সিলেট কাউন্সিল ইন ইউকের সাউথ ওয়েলস  রিজিওন এর সাবেক সেক্রেটারি শাহ শাফি কাদির, সাবেক সেক্রেটারি  রকিবুর রহমান, ট্রেজারার এ বি রুনেল, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রুউফ তালুকদার, সি পি এম ইউকের সেক্রেটারি সৈয়দ সায়েম করিম, সমাজসেবী মশাহিদুর রহমান ,সমাজসেবী কদর উদ্দিন, সীপার করিম,মসুদ আহমেদ,সৈয়দ সায়ফুল আলম, আব্দুর রহিম রনজু, শিপন আহমেদ, রকিবুর রহমান, এবি রুনেল, শামীম আহমেদ, আবুল হক,খায়রুল আলম, আলা উদ্দিন, রেফুল মিয়া, মোহাম্মদ বদরুল মনসুর, মরহুমের ভাই আব্দুল আজিজ ,মরহুমের স্ত্রী বেগম রোকেয়া আলম , মেয়ে মিসেস রেজিনা হামিদ ও মিসেস শামিনা আবেদ ,ছেলে রুহুল আলম ও মহিব আলম,
একাটুনা ইউনিয়ন ডেভেলপমেন্ট এন্ড ওয়েলফেয়ার  ফাউন্ডেশন অব মৌলভীবাজার এর সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা তরফদার, ট্রেজারার মোহাম্মদ মুজিব মনসুর
এবং মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মোহাম্মদ ফয়ছল মনসুর সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
দোয়া পরিচালনা করেন কাডিফ শাহজালাল মসজিদের ঈমাম ও খতীব মাওলানা কাজি ফয়জুর রহমান,শুরুতেই পবিত্র কুরআন মজিদ থেকে তেলাওয়াত করেন হাফিজ মিফতাউর রহমান।
তাঁর মৃত্যুতে আমাদের কমিউনিটির অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।মুক্তিযুদ্ধে তাঁর গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করার জন্য জাতি তাঁকে চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে বলে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, মরহুম  মিয়া মনিরুল আলম ব্যক্তিগত জীবনে  বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন।
একাধারে একজন সংগঠক, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী,
পরোপকারী দানশীল মানুষ, বড ভাল মানুষ চিলেন গরীবের উপকারী বর্তমান সমাজে উনার মত দানশীল মানুষ খুব কম দেখা যায়।তিনি  ছিলেন  বাংলাদেশ কমিউনিটির প্রাণ পুরুষ। প্রবাসে বাংলাদেশের গৌরবের মুক্তযুদ্ধ সহ কমিউনিটির নানা দুঃসময়ে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। বিলেতে তার অবদান বাংলাদেশী কমিউনিটি দীর্ঘকাল শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
সভায় বক্তারা বলেন যে -মিয়া মনিরুল আলম ছিলেন কমিউনিটির জন্য নিবেদিত একজন বিশ্বস্ত বন্ধু ।মানুষের যে কোন দুঃখ কষ্ট দেখলে এগিয়ে আসতেন ।গরীবদের সাহায্য করতেন ।সদা হাস্যজ্বল একজন কমিউনিটি নেতা ছিলেন ।
বক্তারা আরো বলেন যে -বৃটেনের ক্যাটারিং ব্যবসার তিনি ছিলেন অন্যতম পথিকৃত ।ক্যাটারিং এসোসিয়েশনকে তিনি দীর্ঘকাল নেতৃত্ব দিয়ে সংগঠণকে শক্তিশালী করেছেন ।বিলেতের বৃহত্তম কমিউনিটি সংগঠণ গ্রেটার সিলেট কাউন্সিল ইউকের কেন্দ্র ও রিজিয়নে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন ।
১৯৭১ সালে বিলেতে  মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক হিসাবে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেন ।মুক্তিযুদ্ধের ফাণ্ডে চাঁদা সংগ্রহ করে দেন ও মিটিং মিছিলে যোগ দেন ।
মিয়া মনিরুল আলম একজন সংবাদপত্রসেবী ছিলেন।২০০১ সালে সাপ্তাহিক ইউরো বাংলা প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি ডাইরেক্টর ও পরবর্তীতে চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন ।তিনি মৌলভীবাজার থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক জন প্রত্যাশা পত্রিকাকে সহযোগিতা করেন ।
তিনি একজন পরহেজগার ও নামাজী লোক ছিলেন, বৃটেনের  কেন্টের ফক্সটনে একটি মসজিদ প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখেন ।মসজিদ মাদ্রাসায় তিনি অকাতরে দান করতেন । পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে দোয়া
মাহফিলে বহু নারী পুরুষ যোগদান করেন ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *