ইউরো ২০২৮’র যৌথ আয়োজক আয়ারল্যান্ড-যুক্তরাজ্য

তুরস্ক প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেয়ায় যৌথভাবে আয়ারল্যান্ড-যুক্তরাজ্য যৌথভাবে ইউরো ২০২৮ আয়োজন করবে। গত বুধবার উয়েফার পক্ষ থেকে একথা জানানো হয়েছে। মূলত আগামী ২০৩০ ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজনের লড়াইয়ে নামার পরিকল্পনা করছে ব্রিটেন ও আয়ারল্যান্ড। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশীপ আয়োজনের লড়াইয়ে নামে প্রতিবেশী দেশ দুটি। ইতোমধ্যে তাদের ২০২৮ টুর্নামেন্ট আয়োজনের প্রস্তাবনা সমর্থন পেয়েছে। আগামী ১০ অক্টোবর মঙ্গলবার কার্য্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকের পর ইউরো ২০২৮ ও ২০৩২ টুর্নামেন্টের আয়োজক দেশের নাম ঘোষনা করার কথা রয়েছে ইউরোপীয় ফুটবলের পরিচালনা পরিষদের।
২০০৮ সালের ইউরো টুর্নামেন্ট সফলভাবে আয়োজন করা তুরস্ক প্রাথমিকভাবে ২০২৮ ও ২০৩২ টুর্নামেন্ট আয়োজনের প্রার্থীতা ঘোষনা করেছিল। তবে ইতালির সঙ্গে যৌথভাবে ২০৩২ টুর্নামেন্ট আয়োজনে সম্মত হয়েছে তুরস্ক। যদিও ২০২৮ টুর্নামেন্ট আয়োজনের প্রার্থীতা থেকে সরে আসার কোন আনুষ্ঠানিক ঘোষনা দেয়নি তারা। এদিকে উয়েফা গত বুধবার জানিয়েছে যে ইতালির সঙ্গে যৌথ আয়োজনে জোর দিচ্ছে তুরস্ক। সংস্থাটি জানায় ,‘ তুর্কি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে ইউরো আয়োজনের ঘোষনা দেয়ায় এটিই বুঝা যাচ্ছে যে তারা ২০২৮ টুর্নামেন্টের প্রার্থীতা থেকে সরে দাঁড়াবে।’ যে কারণে আসন্ন দুটি টুর্নামেন্ট আয়োজনের প্রর্থীতা এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতার অপেক্ষাতেই আছে।
অর্থাৎ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২০২৮ ইউরোর আয়োজক হতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ড এবং ২০৩২ টুর্নামেন্টের আয়োজক হবে ইতালি ও তুরস্ক। গত বছর নারীদের ইউরো টুর্নামেন্টের আয়োজন করা ইংল্যান্ড সর্বশেষ বড় কোন টুর্নামেন্ট হিসেবে ইউরো আয়োজন করেছিল ১৯৯৬ সালে। যেখানে মাত্র ১৬টি দল অংশ নিয়েছিল। এ ছাড়া ২০২০ সালে ২৪ দলের ইউরো টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ আয়োজন করেছিল দেশটি। করোনা মহামারির কারণে বিলম্বিত সুচিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ওয়েম্বলির ওই ম্যাচটি। টুর্নামেন্টের ১২টি ম্যাচের আয়োজন করেছিল ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড। ইউরো ২০২০ টুর্নামেন্টের কিছু ম্যাচ অবশ্য ইতালির রোমেও অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে ১৯৯০ বিশ্বকাপের পর এককভাবে কোন টুর্নামেন্টের আয়োজন করেনি ইতালি। আগামী বছর ১৪ জুন থেকে ১৪ জুলাই জার্মানিতে অনুষ্ঠিত হবে পরবর্তী ইউরো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *