সৌদি-মার্কিন সম্পর্কে ফাটল, হুঁশিয়ারি বাইডেনের

অনলাইন ডেস্ক :

তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্তের জন্য সৌদি আরবকে কঠোর পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউসের বাইরে সংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ওপেক প্লাসের এমন সিদ্ধান্তের জন্য রিয়াদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের। গত বুধবার হোয়াইট হাউস থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ সময় ওপেক প্লাসের ঘোষণার বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চান সাংবাদিকরা। বাইডেন বলেন, আমরা সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। গত ৫ অক্টোবর তেল উৎপাদন কমানোর ঘোষণা দেয় সৌদি আরব ও রাশিয়াসহ ওপেক প্লাসভুক্ত দেশগুলো। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতিদিন ২০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমানো হবে বলে জানানো হয়। জোটের এমন ঘোষণার পরই বিশ্ববাজারে বাড়তে শুরু করে তেলের দাম। এরপরই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারিন জেন পিয়েরে বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি নতুন করে বিবেচনার কথা ভাবছেন। তবে কবে করা হতে পারে সেটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। বিষয়টি নিয়ে সিনেট সদস্যসহ মিত্র দেশগুলোর সঙ্গেও আলোচনা করা হবে। এতে কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে। আবার কয়েক মাসও সময় লাগতে পারে। সবকিছু পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। এদিকে জো বাইডেনের হুঁশিয়ারির বিষয়ে মুখ খুলেছে সৌদি প্রশাসনও। গত বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে সৌদির অর্থ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, নিজেদের মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারার হতাশায় এ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।অর্থ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, তেল যুদ্ধে ব্যবহারের কোনো অস্ত্র নয়। বর্তমান চাহিদা ও যোগানের কথা বিবেচনা করেই তেলের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আর এমন সিদ্ধান্তের পেছনে জোটভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর কোনো হাত নেই। বাজার বিবেচনা করেই উৎপাদন বাড়ানো কমানো হয়। বিভিন্ন দেশের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার কারণ বিশ্বজুড়ে জ¦ালানি পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া। নিজেরা মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারার দায় চাপাচ্ছে আমাদের ওপর। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের দাবি, নিজেদের লক্ষ্যপূরণে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তারা গোপনে সৌদি আরবকে তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত না নিতে জোর দিচ্ছিলেন। তবে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এতে প্রভাবিত হননি। ওপেকের ঘোষণার কারণে সৌদি আরবের রাজপরিবারের সঙ্গে বাইডেন প্রশাসনের মধ্যকার সম্পর্কের ফাটল আরও বাড়লো বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *