শৈশবে ফিরলেন শাহরুখ খান

অনলাইন ডেস্ক :

২০০৬ সালের বিশ্বকাপ। ১৮ বছরের এক তরুণ নীল-সাদা জার্সিতে নামলো আর্জেন্টিনার হয়ে। বদলি খেলোয়াড় হিসেবে নেমেই করলো গোল। সেই লম্বা চুলের তরুণই পরবর্তীতে হয়ে উঠলেন ফুটবলের জাদুকর, সর্বকালের সেরা ফুটবলার। ক্লাব কিংবা জাতীয় দলের হয়ে প্রায় সব অর্জন নিজের করে নিয়েছেন। বাকি ছিলো শুধু বিশ্বকাপ ট্রফি। কাতার বিশ্বকাপে সেই অপূর্ণতাও ঘুচিয়ে নিলেন। ফুটবলকে ঐশ্বরিক রূপ দেওয়া সেই জাদুকর লিওনেল মেসি। তার হাতে যখন স্বর্ণালী ট্রফি পূর্ণতা পেলো, তখন পুরো বিশ্বেই চলছে উৎসব, উল্লাসিত উদযাপন। এই আনন্দ মিছিল থেকে বাদ যাচ্ছেন না সিনে দুনিয়ার তারকা-মহাতারকারাও। মেসির অনবদ্য সাফল্যের পর বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানও জানালেন শুভেচ্ছা। সেই সঙ্গে ফিরে গেলেন শৈশবে। জানালেন, কীভাবে ছোটবেলায় খেলা দেখতেন। টুইটার হ্যান্ডেলে কিং খান লিখলেন, ‘বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা ফাইনালের সময়ে আমরা বসবাস করছি। আমার মনে পড়ছে, ছোটবেলায় মায়ের সঙ্গে ছোট্ট একটি টিভিতে বিশ্বকাপ দেখতাম। আর এখন আমার সন্তানদের নিয়ে দেখছি, একই উচ্ছ্বাস-উত্তেজনা নিয়ে।’ শাহরুখ খান শুধু মেসির বিশ্বকাপ জয় দেখছেন না, এর পেছনে থাকা কঠোর পরিশ্রম আর যতেœ লালিত স্বপ্নও অনুভব করছেন। তাই ধন্যবাদ জানিয়ে বললেন, ‘মেধা, কঠোর পরিশ্রম এবং স্বপ্নের ওপর আমাদের বিশ্বাস তৈরি করানোর জন্য ধন্যবাদ মেসি।’ আর্জেন্টিনার সান্তা ফের রোজারিওর অতি সাধারণ এক পরিবারে জন্ম মেসির। নানা অনিশ্চয়তা আর টানাপোড়েনে বেড়ে ওঠা। সেই শূন্য থেকেই বাঁ পায়ের জাদুতে তিনি জয় করেছেন বিশ্ব। হয়েছেন সেরাদেরও সেরা। প্ল্যাটফর্ম ভিন্ন হলেও শাহরুখ খানের গল্পটাও যেন মেসির মতোই। একেবারে শূন্য থেকে সফলতার সর্বোচ্চ চূড়ায় আরোহণ করেছেন তিনি। আউটসাইডার হয়ে বলিউডে এসে শাসন করে চলেছেন তিন দশকের বেশি সময় ধরে। দুজনের এই অবিস্মরণীয় জীবনের মূলমন্ত্র তো মেধা, কঠোর পরিশ্রম আর স্বপ্নই। উল্লেখ্য, গত রোববার আর্জেন্টিনা বনাম ফ্রান্সের বিশ্বকাপ ফাইনালের সাক্ষী হয়েছেন শাহরুখ খানও। তিনি স্পোর্টস ১৮ চ্যানেলের স্টুডিওতে উপস্থিত হয়ে কথা বলেছেন ম্যাচটি নিয়ে। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিখ্যাত ব্রিটিশ ফুটবলার ওয়েইন রুনি। অনুষ্ঠানের ফাঁকে দুজন মিলে শাহরুখের আইকনিক স্টাইলে পোজ দেন। সূত্র: পিঙ্কভিলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *